ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সায়েদুল হক নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর গলায় বেশ কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যবসায়ী মুক্তি পেলেও কথা বলতে পারছেন না। তাঁকে কী ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
সায়েদুল বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে বোয়ালমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর ভগ্নিপতি ওয়াজেদ আলী খান। মঙ্গলবার দুপুরে সায়েদুল অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। তাঁকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপ ও পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা সদরের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে থেকে অপহৃত হন সায়েদুল। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়ার পরপরই তাঁকে অপহরণ করা হয়। সায়েদুলের ভাই স্থানীয় সাংবাদিক এসএম রহমতুল্লাহ জানান, ব্যাংকের সামনে থেকে ডিবি পরিচয়ে তাঁর ভাইকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে অপহরণকারীরা তাঁর ভাইয়ের মেসেঞ্জার থেকে ছোট বোন শামিমা জামানের কাছে বার্তা পাঠায়। তারা জানায়, তাঁর ভাইয়ের (সায়েদুল) সঙ্গে তাদের ঝামেলা আছে। তাঁকে শিক্ষা দেবে। তিনি বেয়াদবি করেছেন।
অপহরণকারীরা জানায়, মুক্তিপণের টাকার জন্য নয়, তাঁকে মারধরের জন্য তুলে আনা হয়েছে। তাঁর ভাই তাদের এক সহযোগীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর গলায় ১০টা ইনজেকশন দেওয়া হবে, যাতে কখনও কথা বলতে না পারেন। সায়েদুলের ভাই জানান, বাড়ি ফেরার পর তাঁর ভাই কথা বলতে পারছিলেন না। কোনো ওষুধ গ্রহণও করছিলেন না। কাগজে লিখে তিনি জানান, তাঁকে ওষুধ দিলে তা বিষ হয়ে যাবে!
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্লেপের চিকিৎসক শাকিলা জামান বলেন, সায়েদুল হক মুখে কিছুই বলতে পারছেন না। কাগজে লিখে জানিয়েছেন, ওষুধ শরীরে দিলে বিষ হয়ে যাবে! ইশারায় জানান, গলায় ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। তাঁকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।