এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮। আর এইচএসসির ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬। সব বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি। গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২টি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সব বোর্ডের ফলাফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাশের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাশের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এছাড়া, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল।
এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও পরে তা হয়নি। সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে কিছু পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ নম্বরের ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর বাতিল হওয়া এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।