কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস এবং এর সাথে সম্পর্কিত মজার ঘটনা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারির কল্পনা করা যেতে পারে। এখানে আমি একটি সংক্ষিপ্ত স্ক্রিপ্ট বা পরিকল্পনা প্রদান করছি যা দিয়ে আপনি একটি মজাদার ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারবেন।

 শুরুতেই কি হয়েছিল? “আজকের পৃথিবী ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কি, এই প্রযুক্তির জন্ম কোথা থেকে? একসময় কম্পিউটার বলতে যেটা বোঝানো হত, সেটি ছিল বিশাল আকারের মেশিন, যা কয়েক কক্ষ জুড়ে জায়গা নিত। কিন্তু সেই প্রথম কম্পিউটার কেমন ছিল? আসুন, জানি।”

ন্যারেটর (ভয়েসওভার): “কম্পিউটার আবিষ্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৩৭ সালে, যখন একজন গণিতবিদ, অ্যালান টুরিং, প্রথমবারের মতো একটি মেশিনের ধারণা দেন যা বাইনারি কোডে কাজ করবে। কিন্তু তাতে কোনও ‘প্লাগ অ্যান্ড প্লে’ সুবিধা ছিল না!”

মজার ঘটনা: “টুরিং যখন এই ধারণাটি তৈরি করেছিলেন, তখন তাঁর কাছে এর বাস্তবায়ন করার কোনও প্রযুক্তি ছিল না। এমনকি, তিনি নিজে একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মেশিনের জন্য আমি কি দরকার, আমি জানি না। তবে আমার আশা রয়েছে!’”

বিশাল কম্পিউটার, তবুও… “যতই সময় এগিয়ে চলল, কম্পিউটারের আকার বেড়ে গেল, তবে সমস্যাও ছিল। প্রথম কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘এনিয়াক’ (ENIAC), যার সাইজ ছিল একটি ছোট কক্ষে। এই কম্পিউটার ছিল অতিরিক্ত বড় এবং গরম, যেখানে অপারেটররা প্রায়ই জানালা খুলে কাজ করতেন!”

(দৃশ্য: এনিয়াকের আর্কাইভ ফুটেজ, ইনস্টলেশনের সময়)

মজার ঘটনা: “এনিয়াক যখন চালু হয়েছিল, তখন তাতে থাকা অনেক ল্যাম্প ছিল যা জ্বলে ওঠে গরম হয়ে গিয়েছিল। এমনকি কিছু রক্ষণাবেক্ষণকারী জানিয়েছিলেন, ‘কখনও কখনও আমরা বেশি গরম হয়ে গেলে উবু হয়ে বসে যেতাম, যেন কাঠের চুলা নয়!’”

এক নতুন দিগন্তের সূচনা

“এনিয়াকের পর, কম্পিউটারের আরো অনেক উন্নতি হয়, আর সেই উন্নতির সাথে আসে মজার ঘটনা! প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার বাজারে আসে ১৯৭৫ সালে, যখন মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তি মানুষের হাতে আসে।”

মজার ঘটনা:
“কম্পিউটার যখন প্রথম হাতে আসে, সবার মধ্যে একধরনের ভীতি ছিল। প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা একে ‘ব্ল্যাক বক্স’ বলতেন। আর একদল মানুষ এটাকে এক ধরনের রহস্য মনে করে এটিকে না ছুঁতে অনুরোধ করত!”

এখনকার কম্পিউটার এবং আমাদের হাস্যকর সম্পর্ক

“আজ আমরা যে কম্পিউটার ব্যবহৃত করি, তা অনেক ছোট, দ্রুত এবং শক্তিশালী। কিন্তু কতজন মানুষ জানেন যে, যখন প্রথম কম্পিউটার আনা হয়েছিল, তা ছিল পৃথিবীজুড়ে এক ‘উপহাসের’ কারণ! কে জানতো যে, এই ‘উপহাসের’ জিনিসই একদিন সবার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যাবে?”

মজার ঘটনা: “আজকের আধুনিক কম্পিউটার ব্যবহারে অনেকেই সঠিকভাবে ‘ক্লোজিং’ বাটন খুঁজে পান না! আর একজন, যিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানী, তিনি নিজেই একবার কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য ১৫ মিনিট সময় নিয়েছিলেন! এমনকি, একটা সময়ে তিনি চিন্তা করেছিলেন ‘এটা কি সত্যিই বন্ধ হচ্ছে?’”

ভবিষ্যতের কম্পিউটার “এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ আরও উন্নত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রযুক্তির আরও এক নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে। কিন্তু এই উদ্ভাবনেও রয়েছে অনেক হাস্যকর মুহূর্ত।”

মজার ঘটনা: “কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে কিছু গবেষক একসময় সোজা বলেছিলেন, ‘আমরা কি জানি, যে কম্পিউটার কাজ করবে না, সেও আসলে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ভেতর পড়বে!’”

উপসংহার: “কম্পিউটার ছিল, এখনও আছে, এবং ভবিষ্যতে থাকবে! তবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি আবিষ্কার যেমন আমাদের জীবন সহজ করেছে, তেমনি এর পিছনে থাকা মজার ঘটনাগুলোর সাথে আমাদের হাসির রিলেটেশনও ছিল অনবদ্য।”

এই ডকুমেন্টারিটি দেখতে এবং উপভোগ করতে, আপনি এই স্ক্রিপ্টটি ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল ফুটেজ, পুরানো ক্লিপ, এবং এক্সপের্ট ইন্টারভিউ যোগ করতে পারেন।