12.6 C
Los Angeles
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

নির্বাচনের মাঠে

চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর...

উন্নয়ন-অর্জন এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,...

নিপুণ রায়সহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জে মামলা

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর...

পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংসদে যা বললেন রুমিন ফারহানা

জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, এই...

‘কাঠের স্যাটেলাইট’ মহাকাশে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি‘কাঠের স্যাটেলাইট’ মহাকাশে
খবরটি শেয়ার করুন

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীতে যেমন পরিবেশ দূষণ করছে, তেমনি মহাকাশে হরহামেশা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে বাতিল যন্ত্রাংশ দিয়ে সৃষ্টি করছে আবর্জনার স্তুপ। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিজেদেরই।

পুরনো মহাকাশযানের ধ্বংসাবশেষ অন্য স্যাটেলাইটকে ধাক্কা দিয়ে সেগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একইসঙ্গে নতুনগুলোর উৎক্ষেপণের জায়গাও দখল করে রেখেছে। তাই অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই পরিবেশবান্ধব স্যাটেলাইট তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। জাপানে মহাকাশযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো ফরেস্ট্রি আর কিয়োটো ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে কাঠের স্যাটেলাইট!

২০২৩ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি এই স্যাটেলাইটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সুমিতোমো ফরেস্ট্রি জানায়, আগামীতে মহাকাশে পাঠানোর জন্য কাঠের তৈরি আরও যন্ত্রাংশ তৈরি করতে চায় তারা। তাই মহাকাশে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন ধরণের কাঠ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন তারা। এসব কাঠ প্রচণ্ড তাপ ও চাপ সহ্য করে বৈরি পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে।

জাপানি মহাকাশচারী ও কিয়োটো ইউনিভারসিটির অধ্যাপক টাকাও ডই জানান, “বর্তমানে মহাকাশে ব্যবহৃত সব স্যাটেলাইট অ্যালমিনিয়ামের মতো ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি। এগুলো নষ্ট হয়ে গেলে বা ধ্বংস করে ফেললে এর অবশিষ্ট অংশ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে এগুলো বছরের পর বছর ধরে ভাসতে থাকে। কেবল মহাকাশই না, পৃথিবীর পরিবেশের জন্যেও এগুলো বড় হুমকি।”

তিনি আরও বলেন “বর্তমানে আমরা কাঠের স্যাটেলাইটের একটি প্রাথমিক মডেল তৈরির করছি। পরবর্তীতে এটিকে উৎক্ষেপণের জন্য রকেট তৈরি করবো। সেটিও পরিবেশবান্ধব হবে।”

জাপানি উদ্যোক্তাদের দাবি, কাঠের স্যাটেলাইট ব্যবহারের পর বা এর কাজ শেষে এটিকে সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হবে। প্রয়োজনে এটিকে মহাকাশে ধ্বংস করে ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ফেলা হবে। কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এগুলো পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না।

টেলিভিশন থেকে শুরু করে জিপিএসসহ যোগাযোগের অনেক প্রযুক্তিই স্যাটেলাইট নির্ভর। এই কাজে যেসব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয় সেগুলো মহাকাশে জমতে থাকে। এসবের বাতিল যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি হয় ‘স্পেস জাঙ্ক’ নামক আবর্জনা। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের তথ্যমতে, মহাকাশে বর্তমানে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে চারপাশে প্রায় ৬ হাজার স্যাটেলাইট উড়ছে। এর ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশই বাতিল বা স্পেস জাঙ্ক ধরা হয়। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে একটি বিরাট আকারের স্পেস জাঙ্ক ধাক্কা লাগায় এর জানালার কিছু অংশ ভেঙে যায়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোকনসাল্ট জানায়, আগামীতে প্রতি বছর অন্তত ৯০০ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। ২০২৮ সাল নাগাদ মহাকাশে মোট স্যাটেলাইটের সংখ্যা হবে  ১৫ হাজার। তাই মহাকাশ থেকে এসব স্পেস জাঙ্ক না সরালে নতুন স্যাটেলাইটগুলো জায়গা দিতেও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

 

আরও পড়ুন : ভারতের নিষেধাজ্ঞা করোনার টিকা রপ্তানিতে

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles

x