পূর্ব শত্রুতার জেরে নোয়াখালী জেলা কারাগারে নূর হোসেন বাদল (৩২) নামের দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন মহিন উদ্দিন (৩৩) নামের এক হাজতি। গুরতর আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে উদ্ধার ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার ভোর ৬টার দিকে জেলা কারাগারের নিচ তলার ১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে বেগমগঞ্জের একলাশপুরে একটি নারী নির্যাতন মামলায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নূর হোসেন বাদলকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। পরে ওই মামলায় সে জামিন পেলেও অপর আরেকটি মামলায় তার বিচারকার্য চলমান থাকায় তাকে কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে নিচ তলার একটি কক্ষে অপর হাজতিদের সঙ্গে থাকতেন বাদল। গত দুই মাস আগে বাদলের এলাকা একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে মহিন উদ্দিনকে (৩৩) মাদকদ্রব্যসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার কারাদণ্ড হওয়ার পর তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন তিনি।
কারাগার কর্তৃপক্ষ জানান, দুই আসামির পারিবারের লোকজন জানিয়েছেন মহিন উদ্দিনকে আটক ও পুলিশে সোপর্দ করার পিছনে নূর হোসেন বাদলের মামাদের হাত রয়েছে। এর আগে কোনো একসময় বাদল চোখ তুলে নিবে বলে মহিনকে হুমকি দিয়েছিল বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার জের ধরে রবিবার ভোর ৬টার দিকে অন্য হাজতিরা ঘুমে থাকার সুযোগে কারাগারের দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে এসে নূর হোসেন বাদলের বুকের ওপর বসে কলম দিয়ে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করে মহিন উদ্দিন। এ সময় বাদলের চিৎকারে অন্য হাজতি ও কারারক্ষীরা এগিয়ে এসে বাদলকে উদ্ধার করেন।
জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. জাবেদ হোসেন জানান, ঘটনার পরপর আহত কয়েদি নূর হোসেন বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার দুই চোখে কলম দিয়ে আঘাত করার কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।