ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা ও বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার কাঠেরপুল নামক স্থানে বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নাওতলা গ্রামের মঞ্জুরুল আলমের মেয়ে তন্নী। তিনি চান্দিনা পৌর এলাকার ছায়কোট গ্রামের আবু সাঈদের স্ত্রী। নিহত তন্নীর মেয়ে মুনতাহা, তন্নীর খালা দেবীদ্বারের বাগমারা গ্রামের আবু ইউসুফের স্ত্রী রেজিয়া এবং দেবীদ্বার উপজেলার ছোটনা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক হাবিবুর রহমান।
আহতরা হলেন চান্দিনার নিহত তন্নীর মা রাজিয়া বেগম, ভাই সিয়াম, নিহত রেজিয়ার ছেলে জাহিদ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কে বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার চাষাপাড়া এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে।
সরেজমিন জানা যায়, চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকার দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে কাবিলা ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত রাজিয়াকে কুমেক থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাস যাত্রী জালাল উদ্দিন রিমন জানান, কুমিল্লামুখী একটি সিএনজি অটোরিকশাকে কাঠেরপুল ডাম্পিং এলাকায় বেপরোয়া গতি সম্পন্ন বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে অপর একটি পিকআপ চাপা দেয়। এতে সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই দুই নারীর মৃত্যু হয়।
কাবিলা ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট সোলেমান হোসেন জানান, হাসপাতালে শিশু মুনতাহা ও চালক হাবিবুর রহমান মারা যায়।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে দুই নারী নিহত হয়েছেন। ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কন্যা শিশু ও সিএনজি চালক মারা গেছেন। আমরা ঘাতক বাস ও পিকআপকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।