গাজীপুরে বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় কাজে যোগদান করেছেন শ্রমিকরা। শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে দলে দলে কারখানায় যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তবে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে গাজীপুরে বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানা আজও বন্ধ রয়েছে।
গত কয়েক দিন যাবত গাজীপুরের টঙ্গী, বোর্ডবাজার, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, বাঘেরবাজার ও মৌচাক এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলেও বুধবার কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের সংবাদ পাওয়া যায়নি। সকালে শিল্প নগরীতে বৃষ্টিতে ভিজে যথারীতি কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল। সকাল থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
সকালে শিল্পনগরীর বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সরেজমিন দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পোশাক কারখানায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। শ্রমিকদের বৃষ্টিতে ভিজে কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। বিসিকের বেশিরভাগ কারখানায় কাজের গতিশীলতা বাড়াতে শ্রমিকদের উৎসাহ দিতে বিনোদন হিসেবে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রয়েল ফ্যাশনের মালিক রায়হান আহমেদ হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন। আশা করছি আর শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি হবে না।
এ ব্যাপারে টঙ্গীর জায়ের অ্যান্ড জুবায়েরের কারখানার পোশাক শ্রমিক মো. আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল জানান, এখনো পর্যন্ত আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। আমাদের কারখানায় কাজের উৎসাহ দিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনোদনের জন্য সাউন্ড সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে গাজীপুরের সব কারখানা খোলা রয়েছে। এখনো কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। কারখানা নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।