বাংলাদেশ অফিস ও ডাটা সেন্টার স্থাপনের জন্য গুগলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। পাশাপাশি ডাটা নিরাপত্তা প্রদান, বাংলা ভাষার অধিকতর উৎকর্ষতার প্রতি গুরুত্বারোপ ও ইংরেজির মতো বাংলায় মেইলিং এড্রেস প্রবর্তনেরও আহবান জানিয়েছেন জব্বার।
গুগল এশিয় প্যাসিফিক লিমিটেডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গভার্নমেন্ট এফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ম্যানেজার ক্যালি গার্ডনারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে উভয়পক্ষের মধ্যে এই সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশেষ করে গুগলের নিরাপদ ব্যবহার, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, বাংলা ডিজিটাল কনটেন্ট উন্নয়নসহ গুগলকে আরও জনবান্ধব করার বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষে মতবিনিময় হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
ডাক ও টেলিযোগাগাযোগ মন্ত্রী বলেন, মানুষ গুগলকে নানা তথ্য উপাত্তের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে গুগলসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের জীবন ধারা পাল্টে দিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য গুগলকে বাংলা ভাষায় অধিকতর তথ্য উপাত্ত, স্পিস টু টেক্সট, টেক্সট টু স্পিস সেবা, মেইলিং সেবা, বাংলায় প্রচলিত অনুবাদসহ বাংলা ভাষার অধিকতর শুদ্ধতার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এতে গুগল আরও লাভবান হবে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে টেক্সট বুকসমূহের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে প্রশিক্ষণে গুগলের সহযোগিতা কামনা করেন জব্বার। তিনি বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কর্মসুচি চালু করা হয়েছে এবং আরও এক হাজারটি বিদ্যালয়ে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। মন্ত্রী অপপ্রচারসহ বির্তকিত কনটেন্ট অপসারণে কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ক্যালি গার্ডনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শুন্যস্থান নিরসনে গুগল যে কোন পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।