রাজধানীর মিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষক লীগ নেতার ওপর হামলার পর এখন অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে ।হামলার শিকার মাকসুদুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। বুধবার গভীর রাতে মিরপুর ১২ নম্বরের কালশীর স্টিল ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে খলিলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন কৃষক লীগ নেতা মাকসুদুল ইসলাম ।
রাজধানী মিরপুরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী কৃষক লীগ নেতা মাকসুদুল ইসলামকে ঘিরে অপপ্রচারের চেষ্টা করছে সন্ত্রাসী খলিল বাহীনির প্রধান খলিলুর রহমান খলিল। জানা যায় , কৃষক লীগ নেতা মাকসুদুল ইসলামের মিরপুর ১২ কালশীর বাউনিয়া মৌজায় ৫১ শতাংশ জমি রয়েছে। তিনি ওই জমিতে টিনশেড ঘর বানিয়ে দেখাশুনা করার জন্য সাদ্দাম নামে এক কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। কিছুদিন আগে খলিলসহ মামলার অন্য আসামিরা সাদ্দামের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এজন্য তিনি পল্লবী থানায় ৩টি জিডি করেন।
বুধবার গভীর রাতে খলিল, বুলবুলসহ মামলার অন্য আসামিরা কেয়ারটেকার সাদ্দামের ওপর হামলা চালিয়ে জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাদ্দাম ঘটনাটি জমির মালিক মাকসুদুল ইসলামকে জানালে তিনি তার বন্ধু শেখ শওকত ও ফারুক হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। ঘটনাস্থলে এসেই হামলার শিকার হন কৃষক লীগ নেতা মাকসুদুল ইসলাম ও তার বন্ধুরা।
হামলাকারীরা তাকে চাপাতি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং তার ৩ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এরপর ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এই অপপ্রচার সম্পর্কে মাকসুদুল ইসলাম বলেন , আমি একজন ব্যাবসায়ী কালশীর বাউনিয়া মৌজায় ৫১ শতাংশ জমি রয়েছে তা সমপূর্ন বৈধ ও যার খাজনা খারিজ আমার নামে সন্ত্রাসী খলিল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিচ্ছে।আমার কাছে যে পিস্তল আছে তা সমপূর্ন বৈধ আমার নামে যে সকল অভিযোগ করা হচ্ছে তা সমপূর্ন মিথ্যা । কেউ যদি প্রমান করতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব ।