মৌলভীবাজারের জুড়ীতে নিজের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাসুক মিয়া (৩৮) নামে কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রানীমুরা বীরগুগালিস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মাসুক ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর বিকালে মাসুক মিয়া ও তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। পরে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ভিকটিমকে (১৬) তার বাড়িতে নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টায় মাসুক তার মেয়ে ও ভিকটিমকে একটি কক্ষে ডেকে নেয়।
তারা সেখানে যাওয়ার পর মেয়েকে ইশারা দিলে সে কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে মাসুক ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোররাত পর্যন্ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম মাসুক মিয়ার হাতে-পায়ে ধরেও তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনি। একপর্যায়ে সে চিৎকার করলেও পাশের কক্ষে থাকা মাসুকের দুই স্ত্রী ও মেয়ে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।
ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মাসুক মিয়া। সকালে মাসুক মিয়ার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিম তার ভাইকে বিষয়টি জানালে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভিকটিমের বড় ভাই বলেন, অভিযুক্ত মাসুক মিয়া একজন লম্পট ও নারীলোভী। সে অনেক অসহায় ও নিরীহ মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমরা লম্পট, নারীলোভী ও চিহ্নিত এ মাদক ব্যবসায়ীর কঠোর শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মাসুক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার মাসুক মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
