শুধুমাত্র ভাত রান্না করতে দেরি করেছিলেন গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন (৩৫)। আর তারই জেরে তাকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে তারই দুই দেবর। বর্তমানে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মাধবপাড়ায় আহত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া তার বর্তমান পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করেছেন। আহত সোনিয়া খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার হাওলী গ্রামের মাধবপাড়ার মামুন হোসেনের স্ত্রী। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুই দেবরকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
আহত সোনিয়া খাতুন জানান, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ায় দুই দেবর তারেক (২২) ও জিয়ার (২৫) সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় আমার। এরপরই দুজনই আমাকে কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পারিবারিক কোনো কারণে ভাবির সঙ্গে দুই দেবরের ঝামেলা হয়েছিল বলে জেনেছি। এতে ভাবিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া মায়ারিজ বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাদিয়া খাতুনের পিঠে জখম ও ডানহাতের রগ কেটে গেছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি সম্পর্কে জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ায় ভাবিকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করেছে দুই দেবর। ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ না পেলেও অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।