আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিশ্বকাপের আগে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ। যদিও নিজেদের পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই টিম টাইগারস।
ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বশেষ সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন টাইগাররা।
যা ছিল ২০১৫ সালের পর ঘরের মাঠে টাইগার দলের তৃতীয় সিরিজ হার। এর মধ্যে একমাত্র ইংল্যান্ডের কাছে দুবার সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান সিরিজের পর এশিয়া কাপেও জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু সুপার ফোর পর্বের নিয়মরক্ষার ম্যাচে আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে স্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেন টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে বাংলাদেশ।
দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের। এ ছাড়া সুযোগ পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়রাও।
বিশ্বকাপে জাতীয় দলে নিজেদের সুযোগের পথ তৈরি করতে পারে এমন কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে এ সিরিজের জন্য দল সাজিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিউজিল্যান্ডও নিজেদের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়েছে। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, উভয় দলই এমন কিছু খেলোয়াড় রেখেছে, যারা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে জ্বলে ওঠার পাশাপাশি বিশ্বকাপ দলে সুযোগের জন্য নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
কোমরের ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ খেলতে না পারা সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া চলতি বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে এটি মূলত নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ।
মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার ইমপ্যাক্ট ক্রিকেট খেলতে না পারলে জাতীয় দলের পরিকল্পনা থেকে স্থায়ী বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকবেন। আর মোটামুটি ভালো করলে পেতে পারেন বিশ্বকাপে যাওয়ার টিকিট।
সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়দের জন্যও একটা পরীক্ষা। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করতে না পারলে জাতীয় দলের পুল থেকে ছিটকে যেতে হতে পারে তাদেরও। কারণ ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের পর ২০২৭ সালের টুর্নামেন্ট মাথায় রেখে ওয়ানডে দল নিয়ে নতুন পরিকল্পনা হবে।
নিজেদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আর কিছুটা দীর্ঘ করার স্বার্থে এ দুই ক্রিকেটার সর্বস্ব বাজি রেখে হলেও ভালো করার চেষ্টা করবেন।
যদিও সর্বশেষ এশিয়া কাপে এক ম্যাচে সুযোগ পেলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি বিজয়। অন্যদিকে সর্বশেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপে মোটামুটি ভালো খেলে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ মিলেছে সৌম্যর।
এদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর দলে ভূমিকা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘রোল (ভূমিকা) জিনিসটা আমি আসলে বলতে চাই না। এটা আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’
একটা উদাহরণ দিয়ে লিটন বলেন, ‘এখন যদি ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ে যায় আর রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে নামে, তখন যদি ৩০-৩৫ ওভারের খেলা থাকে, তা হলে উনি উনার মতো করেই খেলাটা খেলবে।
ওটা বলার দরকার নাই। উনি অনেক অভিজ্ঞ (ম্যাচিউরড)। এটা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানে সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে।’