ছাত্রলীগ মিছিলে চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। আজ শনিবার দুপুরে রংপুরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ছাত্রলীগ ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কোনোরাজনৈতিক অধিকার নেই। কোথাও মিছিল করার চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়নুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অতীত কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে। অপছন্দ করার কারণে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। একটা বেআইনি চর্চা শুরু হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ছাত্রলীগ হিসেবে মাস্তানি করবে। হল দখল, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অন্যায়-অকর্ম করবে একপর্যায়ে ওরাই বিসিএস দিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আসবে। তাদের অনেক ক্ষমতা। তাদের একদিকে রাজনীতির ক্ষমতা অন্যদিকে পুলিশ, প্রশাসনের ক্ষমতা। এই চর্চা বা ব্যবস্থাপনার সংস্কার করা না হলে যে সংস্কার শুরু হয়েছে তাতে ভালো প্রশাসন পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জামায়াত ও অন্যান্য দলের যত হিসাব
আইজিপি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে কতিপয় বিপথগামী পুলিশ সদস্য জড়িত ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি ২১ জন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের মামলাগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কোন মামলা থাকবে না। এই মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ পনের বছরে বৈধভাবে অস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট শক্তি এবং সে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে। নতুন করে অস্ত্র নীতিমালা তৈরি হচ্ছে যাতে কেউ জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। পুলিশকে তার পুরোনো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে এবং চলমান সংকট কাটাতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
এর আগে আজ সকালে পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইজিপি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমসহ পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মতবিনিময় সভাশেষে মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।