১৭৬ রানে বড় লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন টপ অর্ডাররা। চরম বিপদে কেবল লড়াই করেছেন ফজলে মাহমুদ ও রনি তালুকদার। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বেক্সিমকো ঢাকার কাছে ২৫ রানে হারল রাজশাহী।
এই জয়ের মাধ্যমে স্বস্তি ফিরল ঢাকার শিবিরে। চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে উঠে এলো ঢাকা। অন্যদিকে রাজশাহী এই নিয়ে তৃতীয় হারের স্বাদ পেল।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। হারায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে। পরের ওভারে আনিসুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। আশরাফুলকে এলবির ফাঁদে ফেলেন শফিকুল ইসলাম
দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর ফজলে মাহমুদ ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ঘুরে প্রতিরোধ গড়ে রাজশাহী। এই জুটিতে ভালোভাবেই এগুচ্ছিল নাজমুলের দল।
কিন্তু ১২তম ওভারে ভাঙেন মুক্তার আলী। ৪০ রানে রনিকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি করে বিদায় নেন মাহমুদও। এরপর মাঠে নেমে ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা আশা জাগিয়ে তোলেন ফরহাদ রেজা। কিন্তু সেই আশাতেই বাধা হয়ে দাঁড়ান মুক্তার। ১৪ রানে ফরহাদকে ফেরান মুক্তার। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে থেমে যায় রাজশাহী।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ইয়াসির আলী ও আকবর আলী। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফিরে যান নাঈম হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে নাঈমকে কিছুক্ষণ টানেন মুশফিক। তবে উইকেটে থাকলেও রানের গতি ধরে বাড়াতে পারেননি নাঈম। ১৯ বলে মাত্র নয় রান করে ফিরে যান তিনি।
রানের চাকা সচল রাখা মুশফিকও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ১১তম ওভারের প্রথম বলে মুশফিককে বিদায় করেন মুকিদুল। ফেরার আগে ২৯ বলে ৩৭ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক।
এরপর বিশ্বকাপজয়ী তরুণ অধিনায়ক আকবর আলীর সঙ্গে জুটি বাধেন ইয়াসির আলী। এই জুটিতে পাল্টে যায় ঢাকার ব্যাটিং চিত্র। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে ঢাকাকে এগিয়ে নেন। দুজনে গড়েন শতরানের জুটি। এর মধ্যে মাত্র ৩২ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির। ইনিংসের শেষ ওভারে ইয়াসিরের প্রতিরোধ ভাঙেন ফরহাদ। নয়টি বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে ফিরেন তিনি।
তবে ইয়াসির ফিরলেও থামেননি আকবর। দলকে ১৭৫ রানের পুঁজি এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। মাত্র ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দেন আকবর।
বেক্সিমকো ঢাকা : ২০ ওভারে ১৭৫/৫ (নাঈম হাসান ১, নাঈম ৯, মুশফিক ৩৭, আকবর ৪৫*, ইয়াসির ৬৭, মুক্তার ৩ ; মেহেদী ৪-০-২৩-১, আরাফাত ৪-০-২৬-১, মুকিদুল ৩-০-৩৮-২, এবাদত ৪-০-৩৪-০, ফরহাদ ৪-০-৩৯-১)।
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৯.১ ওভারে ১৫০/১০(নাজমুল ৫, আনিসুল ৬, রনি ৪০, আশরাফুল ১, মাহমুদ ৫৮, মেহেদী ১, নুরুল ১১, ফরহাদ ১৪, মুকিদুল ৪, আরাফাত ৭, এবাদত ১; নাসু্ম ৪-০-৩৫-০, মুক্তার ৪-০-৩৭-৪, নাইম ২-০-১৪-০, শফিকুল ৪-০-৩১-৩, রবিউল ২-০-১৭-১, রুবেল ৩.১-০-১৫-২)।
ফল : বেক্সিমকো ঢাকা ২৫ রানে জয়ী।
আরও পড়ুন : ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করার পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ :পররাষ্ট্রমন্ত্রী