রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইর মাছ বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া জেলিযুক্ত চিংড়ি ও জাটকা বিক্রির দায়ে আরও ৫ ব্যবসায়ীকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে র্যাব, মৎস অধিদপ্তর এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ যৌথভাবে কারওয়ানবাজারে মাছের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক নিগার সুলতানা যুগান্তরকে জানান, অভিযান পরিচালনাকালে ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইর মাছ বিক্রির দায়ে সফিকুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। বাঘাইর মাছ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর তফসিল ২ অন্তর্ভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী। এ মাছ বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই দণ্ড-ধারা ৩৯ অনুযায়ী মাছ ব্যবসায়ী সফিকুলকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া অভিযানকালে মাছ ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন ও রমজান আলীর আড়ৎ থেকে জেলিযুক্ত ১৭০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে। পরে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাটকা বিক্রির অভিযোগে মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, মো. ওয়াসিম ও সাইফুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিগার সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র ও স্থলভাগ বৈচিত্রময় বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল ও বিচরণক্ষেত্র। যা দেশের জরুরি বাস্তুতান্ত্রিক সেবা প্রদানে অপরিহার্য। কিন্তু পাচার ও অবৈধ বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আজ বন্যপ্রাণী হুমকির সম্মুখীন।