চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আরও ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন, ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, অটোচালক মনির হোসেন এবং দুই কৃষক শহিদ মিয়া ও মনির হোসেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসরাত জাহান মুন্নি এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর আগামী ২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামিদের আদালত থেকে হাজির করা হয়। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।গত বছর ২৯ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলা থেকে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আলীপুর ব্রিজ থেকে ৩০০ গত উত্তর পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোপের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৩২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
তদন্তকালে জানা যায়, মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭-৮ টার মধ্যে যেকোনো সময় খুন হন শিমু।
শিমুকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই হারুনুর রশীদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ আগস্ট কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম দুই জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।