12.7 C
Los Angeles
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

নির্বাচনের মাঠে

চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর...

উন্নয়ন-অর্জন এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,...

নিপুণ রায়সহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জে মামলা

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর...

পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংসদে যা বললেন রুমিন ফারহানা

জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, এই...

১ টাকার সিঙাড়ায় চলে সংসার

সারাদেশ১ টাকার সিঙাড়ায় চলে সংসার
খবরটি শেয়ার করুন

১ টাকায় সিঙাড়া পাওয়া যায়, শুনলে হয়তো অবাকই হবেন। কারণ এ সময়ে এক টাকার মূল্য নেই বললেই চলে। তবে মাগুরা সদরের গাংনালিয়া বাজারের পাওয়া যায় ১ টাকার সিঙাড়া। এ বাজারে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে এক টাকার সিঙাড়া বিক্রি করে যাচ্ছেন অসিত কুমার সাহা। তার এই সিঙাড়া খাওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে এ বাজারে ছুটে আসেন মানুষ। তবে সব থেকে বেশি ভিড় করেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, অসিত কুমার সাহার পরিবারের সদস্য ১০ জন। পরিবারের কেউই সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরি করেন না। সততা এবং কঠোর পরিশ্রমেই অভাবের সংসার এসেছে সচ্ছলতা। তাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র সম্বল ছোট একটি সিঙাড়ার দোকান। সেই সিঙাড়া বিক্রি করা হয় মাত্র ১ টাকায়। রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে তাদের ১ টাকার সিঙাড়া ও চপ।

১ টাকার সিঙাড়া ও চপ ব্যবসায়ী অসিত কুমার সাহার বাড়ি মাগুরা সদরের গাংনালিয়ায়। তিনি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ২৬ বছর। জীবনের শুরুতে ৪ আনাতে একটি সিঙাড়া বিক্রি করতেন। এরপর ২৫ পয়সা, তারপর ৫০ পয়সা। বতর্মানে বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সিঙাড়ার দাম এখন ১ টাকা। তার এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন স্ত্রী, ছেলে অভিজিৎ সাহা ও অপূর্ব সাহাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। সুস্বাদু এ সিঙাড়া ও চপ খেতে ছুটে আসে দূর-দুরান্ত থেকে নানা বয়সের মানুষ।

মাগুরা সদরের হাজিপুর গ্রাম থেকে আসা আব্দুর সামাদ সিঙ্গারা খেতে খেতে বলেন, দামে সাশ্রয়ী ও খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ায় মানুষের কাছে এ সিঙাড়ার ব্যাপক চাহিদা। আমি সময় পেলেই এখানে সিঙাড়া ও বেগুনের চপ খেতে ছুটে আসি।

অসিত কুমার সাহার ছেলে অভিজিৎ সাহা বলেন, বাবা একা ব্যবসা সামলাতে পারেন না বলেই আমরা দুই ভাই বাবাকে সহযোগিতা করি। আমাদের এখানে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। প্রতিদিন চপ ও সিঙাড়া মিলে চার থেকে সাড়ে চার হাজার পিস বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার বাদে যেকোনো দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সিঙ্গারার পাশাপাশি আলুর চপ, বেগুনের চপ, ছোলা ভুনা ও পেঁয়াজুসহ অন্যান্য খাবারও বিক্রি করি।

গাংনালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী এনামুল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই অসিতের সিঙাড়ার দোকানে ভিড় জমতে থাকে। তার সিঙাড়ার সুখ্যাতি এবং খেতে সুস্বাদু বলেই এখানে সবাই খেতে আসেন। দুপুরের দিকে তার দোকানে এত ভিড় হয় যে, মনে হয় এখানে মেলা বসেছে।

ব্যবসায়ী অসিত কুমার সাহা বলেন, ১ টাকায় সিঙাড়া, চপ বিক্রি করেও এ দ্রবমূল্যের বাজারে টিকে আছি। এটা ২৬ বছরের প্রচেষ্টা। স্কুল ও কলেজের ছেলেমেয়েরাই এখানে বেশি খেতে আসে। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে খেতে আসে চপ ও সিঙাড়া। স্বল্প পুঁজির ছোট ব্যবসা দিয়েও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। শুধু থাকতে হবে চেষ্টা আর পরিশ্রম। তবে বর্তমানে সব কিছুর দাম কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে গেছে। তবুও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষকে এই সেবাটা দিয়েই যাব।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles

x