নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়ে নিয়ে প্রতারণার শেষ নেই এই সমাজে কিছু মানুষ প্রতারণা করে নকল বিয়ে করে কিছু সময় উপভোগ করার জন্য আবার কিছু মানুষ কাছের মানুষকে পাওয়ার জন্য, তাকে বাধ্য করারা জন্য নকল বিয়ের কাবিন তৈরি করে।
কেউবা ভালোবেসে এই ভুল করেন কেউ আবার দুষ্ট বুদ্ধিতে প্রতারণা করে। অনেক সময় দেখা যায় কোন জটিল পরিস্থিতির স্বীকার হলে ছেলেটি বা মেয়েটি সেখানে অসহায় হয়ে যায়। কেউ আইনের চক্রে বাধ্য হয় আবার কেউবা প্রতারণার করনে সগৌরবে হেটে বেড়ায়।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরে। বরিশালের সাং-চরকালেখা মুলাদী থানার মোতাহের হোসেন ঢালির মেয়ে জুলেখা বেগম জিনি বিগত ২ বছর আগে মোতাহের গাজীর ছেলে মোশারেফ গাজীর সাথে বিবাহ করেন বিবাহের পর থেকে মোশারফ নিজ স্ত্রীর জুলেখা বেগম কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে পারিবারিক সমস্যার কারনে অত্যাচার করা শুরু করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগি জুলেখা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন আমরা দুযোন দুযোনকে পছন্দ করে বিবাহ করেছি। বিয়ের পরথেকে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করা শুরু করে। তবুও আমি নিজের সুখের কথা ভেবে মুখ বুজে সব সহ্য করে নিতাম। দিন দিন বেড়ে চলেছিলো তার অত্যাচার, সে ভালো ভাবে কাজ-কর্মও করতো না। সে কারনে আমাদের সংসারে সব সময় অভাব থেকেই যেত সে সব কথা চিন্তা করে আমি গার্মেন্টেস এ চাকরি করা শুরু করি।
১৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল ৭-ঘটিকার সময় আমি প্রতিদিনের মত আমার কর্মস্থলে চলে যাই পরে রাত আনুমানিক ৮-ঘটিকার সময় আমার কর্মস্থল থেকে ছুটি পেয়ে আমি বাসায় ফিরলে দেখি আমার বাসার দরজা তালা তা খুলে ভিতোরে গিয়ে দেখি আমার বাসায় কনো আসবাপত্র নেই তা দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই, পরে পাশের ভাড়াটিয়াদের নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি আমার স্বামী সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় বাসার সকল মালামাল ট্রাক যোগে নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।
সে কথা শুনে আমি আমার স্বামীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাই তার মোবাইল বন্ধ পাই। আমি বুঝতেই পারছিলাম না যে সে কেন এমন করলো এ বিষয়ে আমি বাদি হয়ে স্থানীয় পল্লবী থানায় সাধারন ডায়েরী করেছি যাহার নাম্বার ১৯৩০। এখন আমি খুবি অসহায় অবস্থায় রয়েছি আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও দেশের প্রশাসন এর কাছে বিশেষ সহোযগিতা কামনা করছি আমাকে ন্যায় বিচার দেওয়া হোক, কেন সে আমার জীবন নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন : রাজধানীতে বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের মানব বন্ধন