হাইড পার্ক সোসাইটিতে কুকুর নিয়ে ঘুরে বেড়ানো নিয়ে ঝগড়া জেরে এক বয়স্ক দম্পতির ওপর আক্রমণ করেছেন দুই নারী।এ সময় তাদেরকে থাপ্পড়ও মারেন দুই নারী। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের পরিকল্পিত শহর খ্যাত নয়ডাতে এ ঘটনা ঘটে।
নয়ডার সেক্টর ৭৮-এ অবস্থিত হাইড পার্কের ওই ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, অভিযুক্ত দুই নারী ভুক্তভোগী বয়স্ক দম্পতির সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন এবং অন্যান্য বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করছেন।
ভিডিওতে এক বাসিন্দাকে এই বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে, পোষ্য কুকুরটিকে নাকি শিকল ছাড়া হাঁটানো হচ্ছিল।
এদিকে ভিডিওটি এমন সময়ে ভাইরাল হয়েছে, যখন দিল্লি হাইকোর্টে পথকুকুর এবং বানরদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের সমস্যা নিয়ে একটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। মামলাটি বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ এবং ঝুঁকির বিষয়ে আদালতে তোলা হয়।
গত মাসে দিল্লি হাইকোর্ট এমন একটি ঘটনায় ২.৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। যেখানে ২০০৮ সালে তিলক নগরে পাঁচ মাস বয়সি একটি শিশুকে একটি পথকুকুর আক্রমণ করেছিল এবং এই ঘটনায় শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন : ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ ভাবছে কানাডা
এছাড়া গত মে মাসে নয়ডার আরেকটি হাউজিং সোসাইটিতে একটি ভবনের লিফটে একটি কুকুর একটি মেয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছিল। সূত্র: এনডিটিভি
কুকুরের কারণে স্থানীয় এক বয়স্ক দম্পতির সঙ্গে দুই নারীর ঝগড়ার ঘটনা ঘটেছে, যার জেরে দম্পতিকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়। ঘটনাটি সম্প্রতি একটি আবাসিক এলাকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুকুরের মলত্যাগ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। দুই নারী দাবি করেন, বয়স্ক দম্পতি তাদের কুকুরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন। এর ফলে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যা পরে উত্তেজনার রূপ নেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, দুই নারী বয়স্ক দম্পতির ওপর হামলা করে এবং তাদের থাপ্পড় দেয়। এতে দম্পতির মধ্যে একজন আহত হন এবং স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বয়স্ক দম্পতি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্ত দুই নারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এলাকার লোকজন এই ঘটনার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তারা বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে ঝগড়া হওয়া ঠিক নয়, বিশেষ করে যখন কথা বলার একটি উপায় আছে।”
পুলিশ বলছে, তারা ঘটনার সব দিক যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। এলাকার নিরাপত্তা এবং সবার মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখার জন্য এ ধরনের ঘটনা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত।