পাঁচ বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হন মোটরসাইকেলে। ঘোরাঘুরি শেষে বাড়ি ফিরেছেন মাত্র দুজন। বাকিরা ফিরেছেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নতুনহাট স্টোন ভাটার সামনে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঝিকরগাছা থেকে ফেরার পথে নতুনহাট স্টোন ভাটার সামনে গাড়িচাপায় নিহত হন ১৯ বছর বয়সী আসিফ ও আরমান। আর ২০ বছরের সালমান মারা হাসপাতালে।
আসিফ যশোর সদরের এড়েন্দা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে, আরমান দুর্গাপুর গ্রামের নাজির আলীর ছেলে ও সালমান একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
এর মধ্যে আরমান ও সালমান নতুনহাট পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আর আসিফ বাড়ির পাশে বাজে দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন।
এদিন রাত ১টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন বন্ধুর মরদেহ নিজ গ্রামে নেন স্বজনরা। শনিবার ভোর হতে না হতেই নিহতদের বাড়িতে ভিড় জমান বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালমানের বাবা বলেন, কিছুদিন ধরে আমার ছেলে খারাপ ছেলেদের সঙ্গে ঘোরাফিরা করছিল। আমি বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকায় ছেলেকে শাসন করতে পারিনি। এজন্য আমার আজ এ পরিণতি। এমন ভুল যেন কোনা বাবা না করে।
গ্রামবাসীর প্রতি অনুরোধ করে তিনি বলেন, কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের হাতে যেন মোটরসাইকেল তুলে না দেওয়া হয়। তাহলে আমার মতো আপনাদেরও একদিন সন্তান হারানোর বেদনা ভোগ করতে হবে।