চেন্নাই টেস্টটি মোটেই ভালো যায়নি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের, বিশেষ করে বোলিংয়ে। প্রথম ইনিংসে ৮ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে ৭৯ রান দিয়েও পাননি উইকেটের দেখা। এর মধ্যে প্রথম ইনিংসে সাকিবকে বোলিংয়ে দেখা গেছে ৫২ ওভার পার হওয়ার পর।
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সফলতম বোলারকে এত পরে বোলিংয়ে আনা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠেছে ধারাভাষ্য কক্ষেও। কথা হয়েছে তার কম বোলিং করা ও বোলিংয়ের ধার কমে নিয়ে যাওয়া নিয়েও। চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতীয় ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক সাকিবের সঙ্গে কথা বলার পর জানিয়েছিলেন সাকিবের বোলিং আঙুলে (তর্জনি) অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। এজন্য ঠিকভাবে আঙুল নাড়াতে পারছেন না সাকিব। বল গ্রিপেও সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া কাঁধেও সমস্যা আছে তার।
কার্তিকের কথার প্রসঙ্গ ধরে তামিমের মত ছিল, সত্যিই যদি সাকিবের আঙুলে সমস্যা থাকে, তাহলে তো টিম ম্যানেজমেন্টের আগে থেকেই জানার কথা। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তামিমের কথায় ইঙ্গিত ছিল, সাকিবের ইনজুরি থাকলে স্কোয়াডে থাকা অন্য দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম বা নাঈম ইসলামকেও খেলানো যেত।
এবার চেন্নাই টেস্টে হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছেও সংবাদ সম্মেলনে একই ধাচের প্রশ্ন উঠল। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কাভার করতে আসা এক সাংবাদিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, সাকিবকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না। প্রশ্ন শুনে কিছুটা সময় নিয়ে শান্তর উত্তর, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন, মাশাআল্লাহ্।’
বাদ দেওয়ার প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে শান্ত জোর দিয়ে বললেন খেলোয়াড়ের ইন্টেনশন বা অভিপ্রায়ের কথা, ‘শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, অধিনায়ক হিসেবে আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যেসব করা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি।’
সাকিবের আঙুলের ইনজুরি নিয়ে শান্তর ভাষ্য, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা, টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো। আমি কখনো নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ ক্রিকেট দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। আলাদা করে কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই।’