বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবকে (৫১) মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
তার লাশের ময়নাতদন্তের পর এ তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন।
রোববার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়।
চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো বস্তু দিয়ে দুরন্তের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
দুরন্তের ভাই দুর্জয় বিপ্লব বলেন, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসা থেকে মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন ভাই। এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ৯ নভেম্বর আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
দুর্জয় বিপ্লব জানান, চার বছর আগে তার ভাই চার বন্ধুর সঙ্গে মিলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি কৃষি খামার করেছিলেন। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পুলিশ উদঘাটন করবে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পুলিশের কাজ কারা, কেন, কী কারণে ভাইকে হত্যা করেছে, তা খুঁজে বের করা।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকালে দুরন্ত বিপ্লবের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার ইলাশপুর গ্রামে। তিনি কেরানীগঞ্জে ভাড়া থাকতেন।
পাগলা নৌফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নদীর তীরে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। গতকাল রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লাশের ছবি দেখে সেটি নিখোঁজ দুরন্ত বিপ্লবের বলে শনাক্ত করেন তার ছোট বোন শাশ্বতী বিপ্লব।