অষ্টম টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। শিরোপার লড়াইয়ে সহজ লক্ষ্য পেয়েছে ইংলিশরা। তবে রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র মাঝে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে জস বাটলারের দল।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ ওভারে তিন উইকেটে ৪৯ রান। এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
মেগা ফাইনালে ইংল্যান্ডের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। প্রথম ওভারের শেষ বলে হেলসকে বোল্ড করেন শাহিন আফ্রিদি। প্রথম ওভারের ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বাটলার ও ফিলিপ সল্ট।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এসেই উইকেট নেন হারিস রউফ। তার বলে ইফতিখার আহমেদের তালুবন্দী হন ১০ রান করা সল্ট। একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাটলার। তাকেও ফেরান হারিস, ইংলিশ অধিনায়ক ফেরেন ২৬ রানে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। পাকিস্তানের হয়ে বাবর আজমের সঙ্গে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
প্রথম চার ওভার কোনো উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দেন বাবর ও রিজওয়ান। পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত হানে ইংল্যান্ড। ১৫ রান করা রিজওয়ানকে বোল্ড করেন স্যাম কুরান। মোহাম্মদ হারিস এদিন ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে ফেরান বেন স্টোকস।
৪৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ৩৯ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও শান মাসুদ। আদিল রশিদের অবিশ্বাস্য ক্যাচে পরিণত হয়ে বাবর ফিরলে ভাঙে এ জুটি। পাকিস্তান অধিনায়ক করেন ৩২ রান।
স্টোকসের দ্বিতীয় শিকার হওয়া ইফতিখার আহমেদ আজ রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শান মাসুদ ও শাদাব খান। কুরানের বলে ৩৮ রান করা শান ফিরলে ভাঙে দুজনের ৩৬ রানের জুটি।
শান আউট হওয়ার পরপরই আউট হন শাদাব। তিনি ২০ রান করেন। শেষদিকে পাকিস্তানের ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। আর কেউই দুই অংকের ঘরে রান করতে পারেননি।
শেষদিকে ৩ বলে ৫ রানের ছোট্ট ক্যামিও খেলেন শাহিন আফ্রিদি। ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কুরান তিনটি, আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান দুটি এবং বেন স্টোকস একটি উইকেট শিকার করেন।
আরও পুন : আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ, তবে..
আরও পড়ুন : নিপুণের সময় আবেদনে আপিল শুনানি পেছাল