২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে মাথায় ক্ষতসহ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরে শতবর্ষী জোসনা বেগমকে কে বা কারা ফেলে রেখে চলে যান। তার মাথার ক্ষতে পচন ধরেছিল।
অভিভাবকহীন ওই বৃদ্ধ মহিলাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেড় মাস ধরে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুঁজছে ওই বৃদ্ধার ছেলে-মেয়ে বা স্বজনদের। বর্তমানে তিনি সুস্থ হলেও ঠিকানা বলতে পারছেন না। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার স্বজনদের খুঁজে পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. শারমিন সিদ্দিকী জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই মহিলাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন। তার শরীর এখনো বেশ দুর্বল। ঠিকমতো খাবার খেতে পারছেন না, দাঁড়াতেও পারছেন না। বিছানাতেই মল-মূত্র ত্যাগ করছেন। এমতাবস্থায় অভিভাবকহীন ওই বৃদ্ধার মলমূত্র পরিষ্কার করাসহ সময়মতো দেখভাল করতে গিয়ে হাসপাতালের অন্যান্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে অভিভাবকহীন ওই মহিলাকে তারা চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন। চিকিৎসক, সেবিকা ও স্টাফদের মানবিক সেবায় তাকে অনেকটাই সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। দুদিন ধরে তিনি নিজের নাম ‘জোসনা’ ছাড়া অন্য কিছু বলতে পারছেন না। তাকে হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শতবর্ষী ওই মহিলাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে বিভিন্ন দফতরের সহযোগিতা চেয়েও কোনো সুফল পাননি তারা। তার পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।