কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলেন কিনা, তা ঝটপট ও প্রায় নির্ভুলভাবে জানতে ব্যবহার করা হয় প্রেগন্যান্সি কিট। এই যন্ত্রের ব্যবহারও সহজ।
গর্ভধারণ করলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়, যার উপস্থিতি রক্ত ও প্রস্রাবে নির্ণয় করা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ফল পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। কেউ কেউ দ্বিধায় পড়েন কিট ব্যবহারের সঠিক উপায় নিয়ে। আর সে কারণে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষায় এলো নতুন সংযোজন।
মুখের লালা দিয়েই এবার বোঝা যাবে গর্ভাবস্থা। আরো সহজ ও দ্রুত সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাবে ফলাফল। রক্ত বা প্রসাবের নমুনা প্রয়োজন নেই এই পরীক্ষায়। শুধু মুখের লালা দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটে পাওয়া যাবে ফলাফল।
ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান এই স্যালিস্টিক টেস্ট কিট বাজারে আনছে আগামী বছরের শুরুর দিকে। প্রথম দিকে ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্তর আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের বাজারে মিলবে এই কিট। মুখের লালা পরীক্ষার যে কিট আসছে, তা নিয়ে এবার অনেকটাই আশাবাদী এর উদ্ভাবনকারীরা।
ইউরোপের বাজারে ঢুকতে সব আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্যালিগনস্টিকস। চলতি মাসে জার্মানিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি ট্রেড ফেয়ারে এই কিট উপস্থাপন করা হবে।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্যালিগনস্টিকস। ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্যালিগনস্টিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যারন পালমন বলেন, বিভিন্ন চিকিৎসায় লালা দ্রুত রোগ নির্ণয়ের চাবিকাঠি। এটি হরমোন, ভাইরাস এমনকি রোগ সনাক্ত করার একমাত্র নিরাপদ, সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায়। এসব বিবেচনায় এই কিট বাজারে আসছে।