সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এবিএম নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ রাজবাড়ীর পাংশা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার তাসবির হাসান সিসিল (৩২), মাসুদ উল আলম (৬৩), আকবর আলী প্রামাণিক (৬৪), জমির হোসেন জিকু (৩৮), ছানারুদ্দিন খান (৫৫), মো. মতিয়ার রহমান (৩৪), মাহবুবুল আলম (৩৪), ইদ্রিস মন্ডলসহ (৪৪) অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন।
মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী নাজিমুদ্দিন আহম্মেদ সপ্তগ্রাম ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক। মামলার একজন আসামি সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের নির্দেশে ২ ও ৩ নম্বর আসামি তাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে যেতে বলেন। পদত্যাগ না করায় গত বছরের ৪ এপ্রিল মামলার অন্যান্য আসামিরা বাদীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সাতদিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে ও কমিটি থেকে পদত্যাগ না করলে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করেন এবং ফাঁকা গুলি করে চলে যান। হত্যার হুমকিতে বাদী স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নিরাপত্তার কারণে ঢাকায় চলে যান।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এলাকায় এসে সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান মামলার বাদী এবিএম নাজিমুদ্দিন।
মামলার আইনজীবী রাজবাড়ী জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মামলা সম্পর্কে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।