নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার একটি হত্যা মামলায় আশরাফুল করিম বাবু (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তাকে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়েত হরতাল আহ্বান করলে সুধারাম থানার দত্তেরহাট দত্তের বাড়ির মোড় এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্যে জমায়েত হয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি জানতে পেরে নোয়ান্নাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আশ্রাফুল করিম ও বাবুসহ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে যান এবং তারা দা, ছেনী, লোহার রড, লাঠি-সোটা, আগ্নেয়াস্ত্র, পাইপ গান, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জমায়েত হওয়া বিএনপি-জামায়েতের নেতাকর্মীদের উপর এলোপাথাড়ি হামলা করেন। তাদের হামলায় বাদ যায়নি শিশু ও নারীসহ সাধারণ পথচারীও। পাশাপাশি ওদিন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দোকান ভাংচুর, লুটপাট, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে তারা ককটেল ফুটিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে।
আরও পড়ুন : পল্লবীর মুখোশধারী ইউসুফ
তাপস কর্মকার আরও জানান, তাদের গুলিতে খোকন নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাকে দেখতে পেয়ে তার বাবা মজিবল হক উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পথে আবারও তাকে হামলা করে আহত ছেলেকে ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগ নেতা বাবু। পরে তারা খোকনের লাশ একটি নর্দমায় ফেলে দেন। সেখান থেকে তাকে তুলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খোকনের বাবা মজিবল বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানায় বাবুসহ ৫৩ জন এবং অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামী বাবু। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন গ্রেফতার বাবু।