ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের গুঞ্জন উঠেছে। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয় সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনওয়ারের মতো দেখতে এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধার তিনটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
ইসরাইলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নিহত ওই ব্যক্তি হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার কিনা তা নিশ্চিত হতে সামরিক বাহিনী এক যোদ্ধার দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, সিনওয়ারের মতো দেখতে ওই যোদ্ধার মরদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।
ইসরাইলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ বলেছেন, সিনওয়ারের নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ইসরাইলের জন্য একটি ‘অর্থবহ ঘটনা’, তাই সেনাবাহিনী ‘১০৫ শতাংশ নিশ্চিত’ না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করতে চায় না।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরাইলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধার মরদেহ পায়। তারা জানত না ভবনটিতে সিনওয়ার ছিলেন নাকি ছিলেন না।
ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জর্ডান থেকে খবর প্রকাশ করছে আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির লাইভ স্ক্রলে বলা হয়েছে, আমরা ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে একটি বিবৃতি পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে যে তারা একটি ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং হামাসের তিন নেতা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আসলেই হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা হামাসের পক্ষ থেকেও কিছু শুনিনি।
এমনকি ইসরাইলি সামরিক সূত্র বলছে যে এই হত্যাকাণ্ড আসলেই সফল হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হতে তাদের কয়েক ঘন্টা সময় লাগতে পারে। তবে যদি এটি সঠিক হয় তবে এটি হবে হামাস আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রধান যিনি এই যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছেন।