তীব্র গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। সেই থেকে রাজনীতি অঙ্গনে ভূমিধস পরিবর্তন ঘটে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে অনেক দেশ ও সংস্থা হাত বাড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতা পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছিল। বিশেষ করে হসিনার সময়কালে সেটি ছিল ভয়াবহ। অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় এবং দুদেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে।
সম্পর্কে উন্নয়নে ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ অন্তর্র্বতী সরকার উপদেষ্টাদের সঙ্গে কয়েকবার কথায় বলেছেন। তারা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ১৯৭১-এর প্রশ্নটির সমাধান করতে চাই। ’ পরে তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন, অর্থ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনসহ অনেকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় রিকশা চালালেন পাক হাইকমিশনার!
তার এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে সঙ্গে ভালো সর্ম্পক তৈরি করা। এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওর পোস্ট করেন।
পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বলো কোথায় যাবে, বেগম? লে মেরেডিয়ানের ১৪তম তলায় রিকশা টানলাম। জীবিকা অর্জনের জন্য প্রায় সমস্ত আবহাওয়ায় সারাদিন ধরে টানাটানি করা সত্যিই খুব কঠিন। রিকশাচালকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। স্যালুট।’
ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। গত বছরের শেষ দিকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে জায়গা করে নেয় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। ঢাকার রিকশা যে কোনো বিদেশি পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় বিষয়।
মূলত ঢাকার শহরের দৃশ্যপটকে চিহ্নিত করতে হোটেল লে মেরেডিয়ানের লবিতে রাখা রিকশা দেখে তর সইতে পারেননি মারুফ। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে দেখেছেনও। শুধু তাই নয়, রিকশা চালকদের প্রতি এই কঠিন কাজের জন্য শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে সানা কামরান মালিক নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনার সর্বদা এই শক্তি থাকুক যাত্রীদের প্রতি ভালোবাসা’।
মুবাশ্বিরুজজামান হাসান নামে একজন ব্যবহারকারী জানতে চেয়েছেন, রিকশায় যাত্রী কারা ছিলেন। প্রতিউত্তরে মজার ছলে সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন— ‘স্ত্রী এবং কন্যা। তারা আমাকে ভালো পারশ্রমিক দেয়নি।’