রাজধানীর কালাপানি বেগুনটিলা বস্তির ত্রাস বহু অভিযোগে অভিযুক্ত শাহানাজ, পুনাম ও জুয়েল এবং অজ্ঞাত সাত আট জন সন্ত্রাসী এবার জাতীয় দৈনিক খবরের আলোর মফস্বল সম্পাদক শরিফ হোসেন রবিনের ওপর হামলা করে ফের আলোচনায়। চারিদিকে নিন্দার ঝড়। অজনা আশঙ্কায় ভীতসন্তস্ত্র সচেতন অভিভাবক মহল। থানায় অভিযোগ।
বেগুনটিলা বস্তির মাদক, অবৈধ অস্ত্র, দেহব্যবসা, ভূমিদস্যূতা, বাড়িঘর দখল ও চাদাবাজির মূল কারিগর মাদকসম্রাজ্ঞী আওয়ামীলীগ নেত্রী শাহানাজ, যুবলীগ নেত্রী শাহনাজের কন্যা পুনাম ও পুনমের স্বামী যুবলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার জুয়েল এবার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বেগুনটিলা বস্তি এলাকায় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় জাতীয় দৈনিক খবরের আলোর মফস্বল সম্পাদক শরিফ হোসেন রবিনের ওপর । হামলার সময় সাংবাদিক রবিনকে স্থানীয় এলাকাবাসী জীবনবাজী রেখে রক্ষা করাই প্রাণে বেচে গেলেও তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনায় গতকালই পল্লবী থানায় সাংবাদিক শরিফ হোসেন রবিন চিহ্নিত অপরাধী শাহানাজ,পুনাম ও জুয়েলসহ অজ্ঞাত সাত আটজন সন্ত্রাসীর নামে নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বেগুনটিলা বস্তি এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি দখল, চাদাবাজি, মাদক-অস্ত্র ও দেহব্যবসার সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত শাহনাজ, পুনাম ও জুয়েল গং আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে টানা দেড়যুগ ধরে কালাপানি বেগুনটিলা বস্তি এলাকাকে নরকে পরিণত করে রেখেছে। কথায় কথায় হামলাও ভূয়া মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে তুলে নিয়ে যাওয়া, তৎকালীন সময়ে স্থানীয় থানার কতিপয় বিপদগামী অর্থলোভী পুলিশকে দিয়ে তাদের টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের মিথ্যা অস্ত্র ও মাদকের জালে ফাসিয়ে সাধারণ মানুষকে এরা জিম্মি করে রেখেছে। তাদের হামলা, মামলা থেকে বাচতে সাধারণ মানুষ সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করে টানা আঠারো বছর কোনোরকম নিজেদের রক্ষা করে এসেছে।
গত জুলাই আগষ্ট মাসে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করতে এই মাদক সম্রাজ্ঞী শাহানাজ, পুনাম, জুয়েল সহ তাদের নেতৃত্বাধীন কতিপয় ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডাররা ছাত্রজনতার ওপর দফায় দফায় হামলা করে।
এদিকে মিরপুর পল্লবী এলাকার সতেন মহল সাংবাদিক রবিনের ওপর ঘটে যাওয়া হামালার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতার এবং আইনের মুখোমুখি করতে পল্লবী থানাসহ ডিএপি কমিশনারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অপরদিকে সাংবাদিক রবিন পল্লবী থানায় অভিযোগ দায়ের করাই অভিযোগ তুলে নিতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকিধামকি অব্যাহত রেখেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে , বহু অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেত্রী শাহানাজ, যুবলীগ নেত্রী পুনাম ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডার জুয়েলের নামে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলেও তারা তৎকালীন স্থানীয় আওয়ামীলীগ জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে তারা ছিলো ধরাছোয়ার বাইরে। অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদক সংশ্লিষ্টতায় বেশ কয়েকবার তারা নামমাত্র গ্রেফতার হলেও দুর্বল চার্জশিট আর আইনের ফাকফোকর দিয়ে তারা কারামুক্ত হয়ে আবারো দিগুন উৎসাহে তাদের অসামাজিক কর্মকাণ্ড ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে এসেছে।