12.6 C
Los Angeles
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৩

নির্বাচনের মাঠে

চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর...

উন্নয়ন-অর্জন এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,...

নিপুণ রায়সহ ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জে মামলা

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ভাঙচুর...

পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংসদে যা বললেন রুমিন ফারহানা

জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, এই...
Home Blog

বাংলাদেশের নির্বাচনে কেন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না, জানাল জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।

গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমন–পীড়ন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?

জবাবে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি তারা আহ্বান জানান।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে এক ব্রিফিংয়ে ডুজাররিক বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একই সঙ্গে এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষ ভয় ছাড়াই যেকোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে।’

এক মিনিটেই মোটরসাইকেলের লক ভাঙেন কালাম, ১৩ বছরে দুই শতাধিক চুরি

এক সময় রিকশা চালাতেন আবুল কালাম আজাদ। কোনো রকমে চলতো সংসার। এখন তিনি মোটরসাইকেল চোরদের ‘গুরু’। নিজেকে দাবি করেন ‘সেরা চোর’। কারণ যেকোনো মোটরসাইকেলের তালা/লক ভাঙা তার জন্য এক মিনিটের ব্যাপার। ডিবি পুলিশের ডিবি তালিকায় তিনি ‘দুর্ধর্ষ’ চোর। তার অন্তত ১০ জন ‘শিষ্য’ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির জন্য চক্র গড়ে তুলেছে।

ডিবি পুলিশ বলছে, ১৩ বছরে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন আবুল কালাম আজাদ। তার বিরুদ্ধে ৫৩টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত ৪৫ বার। গ্রেফতার হওয়ার এক মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো মোটরসাইকেল চুরি শুরু করেন তিনি।

সবশেষ, ৫ অক্টোবর কারাগার থেকে মুক্তি পান আবুল কালাম আজাদ। এরপর ওয়ারী অঞ্চলে অন্তত ৮টি মোটরসাইকেল চুরি করেন। গত মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় চার সহযোগীসহ ডিবি পুলিশের হাতে আবারো গ্রেফতার হন তিনি।

ডিবি পুলিশের ওয়ারী অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ওয়ারী অঞ্চলের কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তিনিসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

যেভাবে ‘দুর্ধর্ষ’ চোর হলেন কালাম
প্রায় ৩০ বছর আগে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন আবুল কালাম আজাদ। ঢাকায় এসে শুরুর দিকে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছেন। পরে ভ্যানে সবজি বিক্রি করেছেন। এক সময় রিকশা চালানো শুরু করেন। ২০১০ সালে তার রিকশাটি চুরি হয়। সেই রিকশা তিনি খুঁজেও পান। তবে চোর চক্র রিকশাটি ফিরিয়ে দিতে ৪ হাজার টাকা দাবি করে। সেই টাকা তিনি দিতে পারেননি।

আবুল কালাম আজাদ জানান, চোর চক্রের সদস্যরা তাকে তাদের দলে যোগ দিতে বলে। পরিশ্রম ছাড়াই বেশি অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখায়। এরপর তিনি রিকশা চুরি শুরু করেন। প্রথম রিকশা চুরির পর ১ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।

দুই বছর পর রিকশা চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন কালাম। কারাগারে গিয়ে খালেক নামে এক মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। খালেকের পরামর্শে তিনি মোটরসাইকেল চুরিতে উদ্বুদ্ধ হন। কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেকের সঙ্গে থেকে মোটরসাইকেল চুরির কৌশল শেখেন। প্রথম মোটরসাইকেল চুরির পর তিনি ৪ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে মোটরসাইকেল চুরিতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন আবুল কালাম আজাদ।

ডিবি পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, আবুল কালাম আন্তজেলা চোরচক্রের হোতাদের একজন। তার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর চোর চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওয়ারী এলাকায় ৮টি মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

যে কারণে নিজেকে ‘সেরা চোর’ দাবি করেন কালাম
কমপক্ষে ৪৫ বার গ্রেফতার হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। গ্রেফতারের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হন। একবার জামিন পেতে খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। গ্রেফতার হলে তার স্ত্রী জামিনের ব্যবস্থা করেন।

আবুল কালাম আজাদ সাধারণত বিভিন্ন বাসার গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন। তিনি নিজে মোটরসাইকেল চালাতে পারেন না। এ কারণে চুরির সময় সঙ্গে একজন চালক রাখেন। চুরির আগে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ‘রেকি’ করে নিরাপত্তাব্যবস্থা কম বা নিরাপত্তায় ফাঁক আছে এমন বাড়ি খুঁজে বের করেন। যখন বাড়ির গেটে কেউ থাকে না, তখনই তিনি মোটরসাইকেলের তালা ভেঙে চুরি করেন।

একটি মোটরসাইকেলের তালা ভাঙতে তিনি সময় নেন মাত্র এক মিনিট। মোটরসাইকেলে ‘ঢালাই তালা’ লাগানো থাকলে সেটি তিনি ‘চোখের পলকে’ ভেঙে ফেলেন বলে দাবি করেন। তালা ভাঙার পর মোটরসাইকেলের একটি তার কেটে সেটি দ্রুত চালু করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

আবুল কালাম আজাদের দাবি, মোটরসাইকেল চুরিতে তার মতো পারদর্শী আর কেউ নেই। তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল চুরি শিখে এখন অনেকে বড় চোর হয়েছে। তারা এখন আলাদা আলাদা চক্র গড়ে তুলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর মাদারীপুরের শিবচরের জসীম উদ্দিন। শাহ আলম, মানিক, রাকিব, জহির, রহিম, ফায়জুল, মারুফ, রাসেল ও রাশেদ তার কাছ থেকে চুরি শিখে আলাদা চক্র গড়ে তুলেছে। এই ‘শিষ্যদের’ সঙ্গেও কারাগারেই পরিচয় হয়েছে আবুল কালাম আজাদের। চুরির পর মোটরসাইকেল নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও কুমিল্লা এলাকায় পাঠিয়ে দেন তিনি। একটি মোটরসাইকেল ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যর্থ ‘সেরা চোর’ কালাম
দুই শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেও ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি আবুল কালাম আজাদের। মোটরসাইকেল চুরি করে উপার্জন করা অর্থের বড় একটি অংশ মামলার পেছনেই খরচ হয়েছে। বিভিন্ন সময় তার অন্তত ১০ জন কথিত স্ত্রী ছিল। তাদের সঙ্গে বসবাসের সময় অনেক অর্থ খরচ হয়েছে। তবে এখন আর এসব কথিত স্ত্রী নেই। তার প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তান নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হলেও এখন স্বামীর সঙ্গে থাকে না। ছোট মেয়ে এবং আরেক ছেলে পোশাক কারখানায় চাকরি করে। সন্তানরা এখন তার পরিচয় দিতে চায় না। চুরি ছেড়ে দিতে বলে, কিন্তু মোটরসাইকেল চুরি তার নেশায় পরিণত হয়েছে। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে চুরি না করলে সহযোগীরাই পুলিশকে তথ্য দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেয়।

ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপির

একদফা দাবিতে ফের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের পর এ নিয়ে নবম দফায় অবরোধের ডাক দিল দলটি।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অষ্টম দফায় দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ চলে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে পরদিন ২৯ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। পরবর্তীতে ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সরকারবিরোধী দলগুলো।

পরে ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা। এরপর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে ফের ১৯ ও ২০ নভেম্বর সারাদেশে হরতাল পালন করে সরকারবিরোধী দলগুলো। পরবর্তীতে ২২ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ষষ্ঠ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করে দলটি। গত ২৪ নভেম্বর ভোর ৬টায় শেষ হয় ওই অবরোধ কর্মসূচি। এরপর আবারও একদিন বিরতি দিয়ে ২৬ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।

অপহরণ-উদ্ধারের পর ফের নিখোঁজ, অতঃপর ব্যবসায়ীর লাশ মিলল গাছে

নিখোঁজের দুই দিন পর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নির্জন এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে অপহরণের শিকারও হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

 

নিহত ব্যক্তির নাম ইমান আলী (৬৫)। তিনি জেলার ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের সাইলকাই গ্রামের বাসিন্দা। ঘিওর বাজারের পঞ্চরাস্তা মোড় এলাকায় ইমান আলীর একটি হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ইমান আলী। বিভিন্ন স্থানে এবং আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন। ঘটনার পরদিন ইমান আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম ঘিওর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবালয় উপজেলার বোয়ালীর লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি নির্জন স্থান থেকে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ইমান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম বলেন, প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে খোঁজ পেয়ে স্বজনেরা এসে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এরপর রাতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত ইমান আলীর ছেলে মিলন বলেন, ‘আমার বড় ভাই কামাল হোসেনের কাছে গ্রামের রিপন প্রধান নামের একজন সুদ ব্যবসায়ী দেড় লাখ টাকা পেতেন। সুদে আনা ওই টাকার জন্য তারা বাবাকে প্রায়ই চাপ দিতেন রিপন। গত ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে রিপনের কথা বলে অজ্ঞাত তিন যুবক সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বাবাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন রাতে দৌলতপুর উপজেলার ধামসর এলাকায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রিপনসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা করা হয়। এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিতেন।’

নিহত ব্যবসায়ী ইমান আলীর মেঝ ছেলে মামুন মিয়ার দাবি, তার বাবাকে রিপন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছেন। তার বাবার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রিপনের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর ইসলাম জানান, ইমান আলীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়েও থানায় জিডিও হয়েছে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে আছেন বলেও জানান ওসি।

যে কারণে হামাসকে ধন্যবাদ দিল রাশিয়া

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দুইজন রুশ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তারা ইসরায়েল হামাস যুদ্ধবিরতির বন্দীবিনিময় চুক্তির আওতায় ছিল না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়ে, ‘হামাস আন্দোলনের নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ২৯ নভেম্বর আমাদের রাশিয়ানদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে হামাস নেতৃত্বের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গাজায় আরও জিম্মি রাশিয়ানদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল। গত ২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়েছে।

পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়। এর মধ্যে শর্ত অনুযায়ী হামাস মোট ৮১ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, ইসরায়েল দিয়েছে ১৮০ জন ফিলিস্তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল। ১০ মিনিট আগে তারা একদিন বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয় বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার।

এক বিবৃতিতে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েল পূর্ব শর্ত মেনে একদিন যুদ্ধবিরত বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছ। এই সময়ে যুদ্ধবন্ধ থাকবে এবং গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করবে।’

পাকিস্তানের বাতাসের ভয়াবহ অবস্থা, ঢাকায় কত?

ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর। তবে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করেছে।

এদিন বেলা ১২টার দিকে বিশ্বের ১১০টি দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রথম ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর। রাজধানী ঢাকা রয়েছে ৮তম স্থানে।

একিউআই ৩৬৪ স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ৩০৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ২৯০ স্কোর নিয়ে এ সূচকের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর। ২৪২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ১৫৮ স্কোর নিয়ে ৮তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউ এয়ার প্রতিদিনই বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোরের মাধ্যমে এর মান পর্যবেক্ষণ করা হয়।

শূন্য থেকে ৫০ স্কোরকে ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। আর ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

মডেলকে আপত্তিকর প্রস্তাব, সম্পর্ক ভাঙল নেইমারের

সন্তান জন্মের এক মাসের মাথায় বান্ধবী ব্রুনা বিয়ানকার্দির সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙল নেইমারের। সম্প্রতি এক মডেলের সঙ্গে মোবাইল চ্যাট ফাঁস হওয়ার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিল তারকার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন বিয়ানকার্দি। গত মাসেই নেইমার কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন।

এ নিয়ে নেইমারের প্রেমিকা বিয়ানকার্দি লিখেছেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত। আমি তোমাকে পরিস্কারভাবে জানাচ্ছি, আর কোনো সম্পর্কের মধ্যে আমি নেই। আমরা মাভির (তাদের কন্যার নাম) মা-বাবা। এটাই আমাদের সম্পর্কের কারণ। আশা করি, তুমি আমাকে আর বিব্রত করবে না।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের দাবি, ৩১ বছর বয়সী নেইমার বিয়ানকার্দিকে একাধিকবার বিভিন্ন কারণে প্রতারণা করেছেন। যার শেষটি হলো- ব্রাজিলের অনলিফ্যান (প্রাপ্ত বয়স্কদের সাইট) মডেল অ্যালাইন ফারিয়াসের সঙ্গে কথোপকথন। যেখানে নেইমার ওই মডেলকে বেশ কিছু অশ্লীল এবং আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এ ছাড়া বছরের শুরুর দিকে একটি নাইটক্লাবে দুই নারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল নেইমারকে। এই সব মিলিয়ে ক্রমশ দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছিল বিয়ানকার্দি ও নেইমারের মধ্যে।ফারিয়াসের সঙ্গে নেইমারের কী কথা হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। তার পরেই নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা জানিয়ে দিলেন বিয়ানকার্দি।

এদিকে গত অক্টোবর মাস থেকে চোটের জন্য মাঠের বাইরে নেইমার। সম্প্রতি তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে অন্তত ১০ মাস সময় লাগবে এই তারকার।

সেই গায়ককেই বিয়ে করলেন নায়িকা আঁচল

উঠতি গায়ক সৈয়দ অমির সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি- শোবিজে এমন গুঞ্জন বহুদিনের। তবে বিয়ের বিষয়ে বারবরই আঁচলের বক্তব্য ছিল এমন- সম্পর্কে আছি। এখনও আমাদের বিয়ে হয়নি। হলে সবাইকে জানাবো।

অবশেষে বিয়ের খবরটি নায়িকা নিজেই স্বীকার করলেন প্রায় ২ বছর পর। আঁচল আঁখি জানান, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ অমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আর সে বছরই তারা গিয়েছিলে হানিমুনে।

আঁচলের কথায়, ‘২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লাতে আমরা বিয়ে করি। কারণ অমির বাড়ি কুমিল্লা। এর পরপরই আমার শাশুড়ি করোনাতে আক্রান্ত হন। টানা ১ মাস ছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু তাকে আর ফেরাতে পারিনি। শাশুড়ি মারা যাওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই আমরা ভেঙে পড়ি। তাই বিয়ের খবরের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়েই ছোট পরিসরে আমাদের বিয়ের আয়োজন হয়েছিল।’

বিবাহপরবর্তী জীবন প্রসঙ্গে এই নায়িকা বলেন, ‘খুব ভালো সময় কাটছে আমাদের। বলা যায়, এখনই আমরা প্রেম করছি।’

‘জান রে’ শিরোনামের একটি গানের ভিডিও চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে সেই গানের গায়ক সৈয়দ অমির সঙ্গে পরিচয়। গানটি মুক্তির পর দুজনের সেই সম্পর্ক রূপ নেয় প্রেমে। প্রকাশ্যে তাদের প্রেম নিয়ে কথাও বলেছিলেন আঁচল। তবে বিয়ে বিষয়টি সবসময় এড়িয়ে গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ‘ভুল’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউড নায়িকা আঁচলের আত্মপ্রকাশ। ‘জটিল প্রেম’ দিয়ে নজর কাড়েন এবং ‘সুলতানা বিবিয়ানা’র মাধ্যমে প্রশংসিত হন। এ পর্যন্ত দেড় ডজন সিনেমায় কাজ করেছেন এই চিত্রনায়িকা। সিনেমার পাশাপাশি কাজ করছেন ওয়েব সিরিজ ও মিউজিক ভিডিওতেও।

জবিতে প্রথম নারী উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হলেন।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সাদেকা হালিমকে এ নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলে হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫–এর ১০ (১) ধারা অনুসারে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়স পূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে ওই মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন। উপাচার্য পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০৮ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ উদ্দিনকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

২০১৩ সালে অধ্যাপক মীজানুর রহমানকে চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২১ বছরে গত ১৮ মার্চ উপাচার্য মীজানুর রহমান দ্বিতীয় দফার মেয়াদের পর পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পায় অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।

দ্বায়িত্বকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ নভেম্বর তিনি ইন্তেকাল করলে ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।

২০ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর চাটখিলে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার মরিয়ম ওরপে অর্পিতার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ২০ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে গত ২২ নভেম্বর মধ্যরাতে অর্পিতাকে পিটিয়ে হত্যা করেন শাশুড়ি রহিমা বেগম, ননদ ফারহানা ও তার স্বামী ফরিদ। পরে মরদেহ বাথরুমে ফেলে রেখে অর্পিতা আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবার বাড়ি খবর দেন তারা।অর্পিতা হত্যার ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন নিহতের মা।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি এমদাদ হোসেন কৈশোর।

নিহত ফাতেমা আক্তার মরিয়ম ওরপে অর্পিতা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী। তিনি উপজেলার শাহনেয়ামতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন-শাহীন আক্তার দম্পতির মেয়ে।

সহকারী পিপি এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, অর্পিতা হত্যার ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন নিহতের মা। মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানী শেষে বিচারক আব্দুর রহিম মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে চাটখিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে অর্পিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী ইতালী চলে যান। গত দুইমাস আগে তার শ্বশুর-শাশুড়ি অর্পিতাকে ইতালী পাঠানোর জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধন করে এবং ২০ লাখ টাকা তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু অর্পিতার বাবা কৃষি কাজ করায় ২০ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম ও তার ননদ ফারহানা প্রতিনিয়ত তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করে।

গত ২২ নভেম্বর টাকার জন্য অর্পিতাকে তার বাবার বাড়ি পাঠান শাশুড়ি। কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে অর্পিতা শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন। এ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অর্পিতার কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে ২২ নভেম্বর মধ্যরাতে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম, ননদ ফারহানা ও তার স্বামী (ঘরজামাই) ফরিদ তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বাথরুমে ফেলে রেখে অর্পিতা আত্মহত্যা করেছে বলে বাবার বাড়ি খবর দেন। খবর পেয়ে তার বাবা-মা ঘটনাস্থল গিয়ে বিছানায় শোয়া অবস্থায় মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

চাটখিল থানার ওসি মো.এমদাদুল হক বলেন, আদালতে মামলার বিষয়টি জানি না। এ সংক্রান্ত আদালতের কোনো আদেশ থানায় এসে পৌঁছেনি। তবে ঘটনার পর পরই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা নেয়া হয়। ওই মামলায় শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে ননদের শিশু সন্তান থাকায় আদালত তাকে জামিন এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরুর মাংসের দাম, স্বস্তি ফিরেছে বাজারে

ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম বেশ কমেছে। প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন ৬০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরুর মাংসের দাম। ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতা তো বটেই, অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ দোকানে সারিতে দাঁড়িয়ে গরুর মাংস কিনছেন। দুই সপ্তাহ ধরে গরু মাংসের দামে এই পরিবর্তনের ফলে বাজারে কমতে শুরু করেছে চাষের মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দামও। দোকানিদের বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি মাংসের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ায় বিক্রেতারাও খুশি। দুই পক্ষই বলছে, অনেক দিন পর এ বাজারে ‘স্বস্তি’ ফিরেছে।

মিরপুরের পীরেরবাগ, শ্যাওড়াপাড়া, তালতলাসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, দামের কারণে বিক্রি একেবারেই কমে গিয়েছিল। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ গরুর মাংস কিনতেন না। দাম কমায় লাভের অংক কমেছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।

ক্রেতারা বলছেন, অনেক দিন পর মাংসের দাম রাতারাতি কমে যাওয়ায় স্বস্তি হচ্ছে। আগে নিয়ম করে একবার-দুবার মাংস খাওয়া হতো। এবার মনে হচ্ছে, মাসে কয়েকবার খাওয়া যাবে। দাম বেড়ে গেলে তারা নাকি আর মাংস কিনবেন না।

গরুর মাংসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছ-মুরগির বাজারেও। মিরপুরের বাজারে সব ধরনের মাছ ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা করে কমেছে। মাছ বিক্রেতারা বলছেন, তাদের কাছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজির নিচে কোনো দেশি মাছ নেই। দাম কমায় ভোক্তারা মাছের বদলে পরিবারের জন্য মাংস কিনছেন। তাই ১০ থেকে ২০ টাকা করে মাছের দাম কমিয়েছেন।

‘এই দরপতনকে’ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, দামের কারণে যারা এ প্রাণিজ আমিষ প্রায় গ্রহণ করেত পারত না, তাদের উপকার হলো সবচেয়ে বেশি।

উত্তরার একটি ব্রোকারেজ হাউজে কাজ করেন আবুল কাসেম। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বাজারে এসেছেন মাংস কিনতে। কথা হলে তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের মাংস বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে ছিল। অল্প অল্প করে খাওয়া হয়েছে। এরপর কেনাও হচ্ছিল না দামের কারণে। গত কয়েকদিন ধরে দাম কমায় বাজারে আসতে সাহস করলাম। গত সপ্তাহে দুই কেজি মাংস কিনেছিলাম। আজও বেশ কয়েক কেজি কিনেছি।

তিনি আরো বলেন, পরিবারের সবাই গরুর মাংস পছন্দ করে। কিন্তু ৮০০ টাকা কেজি দরে কেনাটা কষ্টকর, খাওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গরুর চাহিদা মুরগির মাংস দিয়ে পূরণ হচ্ছিল। দাম কমায় এখন বেশি করে কিনে রাখছিল।

গরুর মাংসের দাম কমায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বলে জানান রেজাউল করিম নামে এক মুদি দোকানদার। শ্যাওড়াপাড়া বাজারে গরুর মাংস কিনছিলেন তিনি। রেজাউল জানান, শাক-সবজির পাশাপাশি সপ্তাহে দুয়েকদিন মাছ খাওয়া হতো তাদের। সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস রান্না হতো তার। খেতে খেতে অভক্তিও লেগে গিয়েছিল। দাম কমায় সপ্তাহে তাদের খাবারের তালিকায় একদিন গরুর মাংস থাকছে।

দাম কমায় লাভ কেমন হচ্ছে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় তালতলার মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা জানান, আগের চেয়ে বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু লাভের পরিমাণ আগের মতোই আছে। দাম কমায় বিক্রি বেশি, তাই বলে যে লাভও বেশি হচ্ছে বিষয়টি তা নয়।

রাসেল নামে তালতলা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিন আগেও প্রতিদিন একটা কইরা গরু জবাই দিতাম। গত ১৫ দিন ধইরা দুইটা কইরা জবাই দিতাসি। দুপুর ১টার মধ্যেই মাংস শ্যাষ হইয়া যাইতাসে। ৫৮০ ট্যাকা দিয়া ঢাকার ভিতরে কোথাও মাংস পাইবেন না। আমরাই দিতাসি। লাভ কম হইতাসে, কিন্তু চাহিদা আগের চেয়ে বাড়সে। ক্ষতি হইতাসে না। ক্রেতারা কইতাসে দাম বাড়লে আর কিনবো না।

গত মার্চে গরুর মাংসের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা হয়েছিল। ফলে সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এ প্রাণিজ আমিষ। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে।

এক সেতুতে বদলেছে ৩০ লাখ মানুষের ভাগ্য

একটি সেতু বদলে দিয়েছে অনেক কিছু। সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীর ওপর স্বপ্নের রাণীগঞ্জ সেতু নির্মিত হওয়ায় জেলার ৩০ লাখ মানুষের ভাগ্য বদলেছে।

সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়ক পথের যোগাযোগ ৫৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে। সময় বেঁচেছে ৩ ঘণ্টা। যাতায়াতের ক্ষেতে মানুষ ও পণ্য পারাপারে খরচ কম লাগছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারায় লেখাপড়ায় এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় যানচলাচলের কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে ঐ অঞ্চলের মানুষ। মূলত এই একটি মাত্র সেতু বদলে দিয়েছে এই অঞ্চলের জীবনমান।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল কুশিয়ারা নদীর ওপর রানীগঞ্জ সেতু নির্মাণের। যা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাস্তবায়ন করলো বর্তমান সরকার। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় সুনামগঞ্জ জেলাশহর থেকে রাজধানী ঢাকাতে পৌঁছাতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পথ কমেছে। সময় বেঁচেছে কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা। এই সেতুটি ঘিরে নতুন স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় বিভোর এলাকাবাসী। পাশাপাশি সেতুটি সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখছে বলে জানান জেলাবাসী।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজি এখলাছুর রহমান আখলাই জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রাণের দাবি ছিল কুশিয়ারা সেতুর ওপর রাণীগঞ্জ সেতু নির্মাণের। অনেক সরকার অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়ন করেছে। আগে সুনামগঞ্জ বা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া আসা করতে গেলে এই নদী পারাপার নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু সেতুটি নির্মাণের পর এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ভোগান্তি কমেছে। স্বস্তি এসেছে জনমনে।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়ণের আছিমপুর গ্রামের গৌছ আলী জানান, সেতু নির্মাণের আগে রাত-বিরাতে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে, যাতায়তের অভাবে দ্রুত ডাক্তার বা হাসপাতালে নেয়া যেত না। দেখা যেত নৌকার অভাবে ভালো রোগীও মুমূর্ষু হয়ে যেত। সেতুটি হওয়ায় যখন তখন হাসপাতাল কিংবা ডাক্তার নিয়ে যাওয়া যায়।

জগন্নাথপুর স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আগে বাসা থেকে বের হয়ে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছানো যেত না। সেতুটি হওয়ায় সঠিক সময়ে বাসা থেকে বের হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেয়া যায়।

সুনামগঞ্জের মাইক্রোবাসচালক সমীর মিয়া জানান, আগে সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে গেলে রাণীগঞ্জ সেতুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা লাগতো। এতে সময় ও টাকা দুটোই বেশি লাগতো। কিন্তু সেতুটি হওয়ার পর ২-৩ ঘণ্টা সময় কম লাগছে। সেইসঙ্গে গাড়িতে তেল বা গ্যাস কম লাগছে।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তাদীর আহমদ জানান, এই সেতুটি সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। রানীগঞ্জ সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকাসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা হয়েছে। তাছাড়া আশপাশে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। যা এলাকার মানুষের বেকারত্ব নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি (আব্দুস সামাদ আজাদ) আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ওপর রানীগঞ্জ সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট। ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু ও আড়াই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং টুল প্লাজার নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ২৪ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২৪ বি এবং এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এমবিইএল)।

গত বছরের ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রাণীগঞ্জ সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

x