মোংলায় ভাড়া বাসা থেকে আনিকা (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তার স্বামী তুফান শেখ।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলার পৌর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মোংলা থানার পুলিশ।
নিহত আনিকা খুলনার দৌলতপুর দারোগার পুকুর পাড়ের পাবলা এলাকার আনিসুর রহমানের মেয়ে ও একই এলাকার কামাল শেখের ছেলে তুফান শেখের (৩০) স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ৮ মাস ধরে পরিবারটি এখানে ভাড়া থাকতো। আজ সকালে মেয়ের মামাকে তুফান ফোনে বলে আপনার ভাগ্নি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ের মামা বাড়িতে এসে দেখে ঘরের দরজা বাহির থেকে শিকল দিয়ে আটকানো। শিকল খুলে দেখে তার ভাগ্নি খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পড়ে তিনি প্রতিবেশীদের ডাক দিলে, তারা এসে পুলিশকে খবর দেন।
নিহত আনিকার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে তার নানা বাড়িতে থাকা অবস্থায় পরিচয় গোপন রেখে ৫ বছর আগে সম্পর্ক করে তুফান। পরে ঢাকায় নিয়ে তাকে বিয়ে করে সে। জামাই কোনো কাজ করতো না। তা নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কয়েকদিন আগেও আমার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাদের সংসারে ৫ বছরের তাসনিম নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জামাই আমাকে প্রায়ই বলতো রাগ হয়ে গেলে কোন সময় যেনো আপনার মেয়েকে মেরে ফেলব। আমার মেয়েকে গলা টিপে জামাই মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।’
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৯টায় আমরা খবর পাই পৌর শহরের মাদ্রাসা রোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর শুনেই আমরা সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এটা হত্যা। তবে মরদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।