নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম না কমায় দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। অক্টোবরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। নভেম্বরে সেটা দাঁড়িয়েছে ১৩. ৮০ শতাংশ। অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।
এর আগে ২০২৩ সালের পর চলতি বছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ১৪.১০ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড হয়েছিল দেশে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েব সাইটে দেশের মূল্যস্ফীতির এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
দেউলিয়াত্ব থেকে ফিরে আসা দ্বীপদেশ শ্রীলংকায় মূল্যস্ফীতি প্রায় তিন মাস ধরে ঋণাত্মক পর্যায়ে। কিন্তু বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সংকোচন না হওয়ায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
গত বছরের একই সময়ে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮৯ শতাংশ। এছাড়া, নভেম্বরে মজুরির হার কিছুটা বেড়েছে ৮.১০ শতাংশ হয়েছে— যা অক্টোবরে ছিল ৮.০৭ শতাংশ।
বাজার তদারকি করা হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য আসছে না। প্রতিনিয়ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। উৎপাদন ও আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে একটি বড় সরবরাহ চেইন রয়েছে। সেখানেও সঙ্কট কাজ করছে। সবমিলিয়ে দ্রুত এসব পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মূল্যস্ফীতি টেনে ধরা যাবে না।