বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোত পন্ত ও ভূমি সংষ্কার দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাম ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসাতে ভারতের তোড়জোড়
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার চায়, যতদ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে। সেজন্য কী কী বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে রবিবার সেই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে কর্মকর্তাদের।এই নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার রাজ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন মোহন।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরপর এই দুই বৈঠকে আসলে স্পষ্ট যে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত কাজটি করতে চাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্য সরকারকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যেন দ্রুত কাজ শেষ করা যায়। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় জমি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দিয়েছে। ’
প্রশাসনের এক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মোট ২ হাজার ২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। মোট সীমান্তের প্রায় ৮০ শতাংশই এরই মধ্যে বেড়া বা প্রযুক্তিগত সমাধানের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অপর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কেন্দ্র বাকি ২০ শতাংশেও বেড়া বসাতে চায় এবং মনে করছে যে রাজ্য জমি হস্তান্তরে দেরি করছে।’
আরও পড়ুন : তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন মেদভেদেভ
দিল্লির এক কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকা মনে করছে যে এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজ্যকে জমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে সরাসরি জমি ক্রয় করতে অনুমতি দিয়েছিল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন গ্রহণ করেনি। প্রকল্পটি গত এক বছরে তেমন অগ্রগতি হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, রাজ্য সরকার প্রকল্পটির জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালায়নি।’
রাজ্য সরকারের অপর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর তারকাঁটার বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু জমি নিয়ে সমস্যার কারণে এই প্রকল্পটি থেমে যায়। এখন বেড়া নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।