আদালতপাড়া ঘিরে লোকজন। শুরু হয় জামিন শুনানি। জেরাও শুরু করেন আইনজীবীরা। তবে শুনানি শেষে জামিন মেলেনি আসামির। ছেলেকে জেলে পাঠানোর রায় পেতেই আদালতের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন মা। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। মায়ের কান্নার শব্দ ভেসে আসে বিচারকের কানেও। শেষমেশ বিচারককেই বদলাতে হলো রায়।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। জামিনে মুক্তি পাওয়া ২২ বছর বয়সী মো. জিহাদ উদ্দিন হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খোকনের ছেলে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহের উদ্দিন বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা নিয়ে চৌমুহনী বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর জিহাদসহ তিনজনের নামে হাতিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান জিহাদ। প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত। পরে তার মায়ের আর্তনাদে মানবিক দিক বিবেচনা করে জামিন দেন বিচারক।
এ নিয়ে আদালতপাড়ায় অনেক হইচই পড়ে যায়। অনেকে মায়ের আর্তনাদ ও মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। কেউ কেউ এ ঘটনাকে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন।
হাতিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আইন তো মানুষের জন্য করা হয়েছে। মায়ের চিৎকার শুনে আদালতের মধ্যে সবার মাঝে মানবিকতা কাজ করেছে। বিচারকের এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।