গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করার পর বলপ্রয়োগে উদ্ধার করতে চেয়েছিল বিদেশি যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাতে রাজি হয়নি। এতে নাবিকদের জীবন সংকটে পড়ত।
অবশেষে মুক্তিপণের বিনিময়ে ভারত মহাসাগর থেকে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাবিকদের মুক্তি দেয় জলদস্যুরা। মুক্তি পাওয়ার পর নাবিকদের নিয়ে জাহাজটি দুবাইর পথে রওনা দিয়েছে।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নাবিকদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি যুদ্ধজাহাজ জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে বলপ্রয়োগে উদ্ধার করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে দ্রুত তৎপরতা শুরু করে। সেটি করতে সরকার রাজি হয় নি। কেএসআরএম কর্তৃপক্ষও রাজি ছিল না। কারণ এতে নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) পথে রওয়ানা দেয়। সেখান পৌঁছতে ১৯-২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে নাবিকদের ইচ্ছা অনুযায়ী জাহাজে অথবা বিমানে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে ঈদের রেশ না কাটতে এবং নতুন বছরের শুরুর দিনে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় নাবিক পরিবারগুলোতে ফিরে এসেছে স্বস্তি। জিম্মি হওয়ার ৩১ দিন পর নাবিকরা মুক্তি পেলেন। এখন স্বজনরা নাবিকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে। কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে শনিবার মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।