মিথ্যা মামলায় জেল থেকে বেরিয়ে দুই সন্তান নিয়ে আশ্রয়ের আশায় খোলা আকাশের নিচে ঘুরছেন অসহায় নাছরিন। এক বছরের কন্যাসন্তান নিয়ে দুই মাস জেলে থাকার পর বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে স্বামীর নতুন স্ত্রী। সে তাকে ঘরেই ঢুকতে দেয়নি। জেল থেকে বের হওয়ার ১৩ দিন পার হলেও দেখা মেলেনি স্বামীর। তবে মোবাইলে স্বামী তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন-আমি বিয়ে করে ফেলেছি। তুমি নিজের রাস্তা দেখ। দুই সন্তান কোলে নিয়ে বাড়ির পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও স্বামীর দেখা পাননি নাছরিন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে।
নাছরিন জানান, প্রথম দিন তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তুমি চলে যাও আমি সময়মতো তদন্ত করতে যাব। নাছরিন পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই সন্তান নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা তার নেই। এরপর দুদিন দুই সন্তান নিয়ে থানার গেটে সময় কাটছে নাছরিনের।
জানা যায়, নাছরিনের বাবার বাড়ি বাগেরহাট সদরের অর্জুন বহর গ্রামে। শ্রীপুর পৌর এলাকার বহেরার চালা শিল্পাঞ্চল এলাকায় তার একটি টেইলারের দোকান ছিল। ৫ বছর আগে নাছরিনের বিয়ে হয় শ্রীপুরের গোসিংগা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের এক বছর পরেই তাদের ঘরে আসে প্রথম মেয়ে কানিজ ফাতেমা। বিয়ের চার বছর পর দ্বিতীয় মেয়ে সন্তানের মা হন নাছরিন।
জনৈক এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার স্বামীর সাজানো মামলায় গত তিন বছরে দুই সন্তান সঙ্গে নিয়ে নাছরিন জেল খেটেছেন তিন বার। এক বছরের মরিয়মকে নিয়ে প্রায় দুই মাস জেলে থাকার পর গত ২০ জুলাই তিনি জেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
নাছরিন আরো জানান, তার স্বামী ও সতীনের ষড়যন্ত্রের কারণে গৃহহীন হয়ে দুই সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শ্বশুরবাড়িতেও তার ঠাঁই হচ্ছে না।