গুদামে পড়ে রয়েছে কোটি কোটি কোভিশিল্ডের টিকা। মেয়াদ ফুরানোয় এরইমধ্যে বেশকিছু টিকা বাতিল হয়েছে। কিছু রয়েছে বাতিলের মুখে। টিকার চাহিদা কমায় প্রায় ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে ভারতের করোনা টিকার প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এসব তথ্য জানান আদর পুনাওয়ালা নিজেই।
গত বছরের ডিসেম্বরেই বন্ধ করা হয় করোনা টিকা কোভিশিল্ডের উৎপাদন। টিকার চাহিদা কমার ফলে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানায় সেরাম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রতি মানুষের অনীহার কারণে কোটি কোটি টিকা রয়ে গেছে গুদামে। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে এই টিকা এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে, আমরা কোভিশিল্ডের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। বুস্টার টিকার কোনও চাহিদা নেই। মানুষ এখন কোভিড নিয়ে বিরক্ত। সত্যি বলতে, আমি নিজেও বিরক্ত। ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।’
করোনার প্রতিরোধী টিকা হিসাবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আরো বেশ কয়েকটি টিকাকে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিলেও কোভিশিল্ডের ওপরেই সাধারণ মানুষের ভরসা ছিল।
সেরাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রধান আরো বলেন, ‘প্রথম দু্ই ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের যে আগ্রহ ছিল, তা বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। করোনা কাবু করেছিল ভারতকেও। কয়েক দফায় করোনার হানা, ফলে দেশটিতে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। এরপরই টিকা উৎপাদন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটও শুরু করে টিকা উৎপাদন।