ঢাবি শিক্ষার্থী দেওয়ান শহিদুল ইসলাম সীমান্ত। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীকে। বর্তমানে সেই সংসারে রয়েছে আট মাসের পুত্রসন্তান। তবে প্রথম স্ত্রীর প্রেগন্যান্সির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা মীমকে ‘মৌখিকভাবে’ বিয়ে করেন সীমান্ত। এক মাসের সংসারের পর আবার তাদের মৌখিকভাবে ছাড়াছাড়িও হয়।
এদিকে তিন শিক্ষার্থীর এ বিয়ের খবর ক্যাম্পাসে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। অনেকে এটা নিয়ে ট্রল করছেন আবার কেউ হাসাহাসি করছেন। ওই ছাত্রের প্রথম স্ত্রী এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। তিনিও একই ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী।
শুক্রবার বিষয়টি সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা মঞ্চ বসার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টির শুনানি হবে।
জানা যায়, দুই বিয়ে করা শিক্ষার্থী সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি খুলনা জেলার সদর উপজেলায় এবং মীমের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেওয়ান শহিদুল ইসলাম সীমান্ত গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রথম স্ত্রীর প্রেগন্যান্সির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের একই ব্যাচের মেহেরুন্নেসা মীম নামে এক ছাত্রীকে ‘মৌখিকভাবে’ বিয়ে করেন। সীমান্তের ভাষ্যমতে, সেই বিয়ের সাক্ষী ছিল পিয়াল ও হাসান। বিয়ের পর সীমান্ত ও মীম একমাস সংসার করেছেন। পরবর্তীতে সীমান্ত আবার মীমকে মৌখিকভাবে তালাক দেন। তবে এ বিয়ে ও তালাক নিয়ে প্রথম স্ত্রীকে কিছুই জানানো হয়নি।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সীমান্ত এই মৌখিক বিয়ের আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে পারিবারিক ভাবে এক ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ওই (প্রথম স্ত্রী) ছাত্রীকে বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। এই সংসারে তাদের আট মাস বয়সী একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে দেওয়ান শহিদুল ইসলাম সীমান্তের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী মীম জানান, এই মুহূর্তে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
দেওয়ান সীমান্তের প্রথম স্ত্রী বলেন, তাদের (দেওয়ান ও মীম) এই সম্পর্কের কথা আগে জানতাম না। অল্পকিছু দিন আগে সেটা জেনেছি। অথচ প্রেগন্যান্সির সময় যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, তখন ওই মেয়ে (মেহেরুন্নেসা) আমাকে দেখতে এসেছিল, মানুষ কীভাবে এমন হতে পারে।
তিনি আরো জানান, স্বামীর এমন আচরণ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। অনেকটা ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা মঞ্চে যোগাযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি বর্তমানে আমার সন্তানকে নিয়ে দোটানায় পড়ে গেছি। মানসিকভাবে আমি এক প্রকার বিধস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।