দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে তার চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে, পরের দিন তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণায়। অবসরের পরের দিনই তামিককে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামিমের সঙ্গে স্ত্রী আয়েশা ইকবাল ছাড়াও সেদিন ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও গণভবনে গিয়েছিলেন।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর অবসর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। তবে নিজে সিদ্ধান্ত বদলালেও ওই সময় একটি দাবি জানান তামিম। এই ওপেনারের চাওয়া, ভারত বিশ্বকাপে যেন মাশরাফিকে মেন্টর করা হয়। এতদিন বিষয়টি নিয়ে কথা না বললেও আজ বুধবার মুখ খুলেছেন তামিম। মেন্টরের কাজ কী, সেটা মাশরাফি জানেন না বলেই মন্তব্য করেছেন।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাশরাফি। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘মেন্টর হয়ে কী লাভ হয়? আমাকে একটু বলতে পারবেন? আমি জানি না, ও (তামিম) কেন চাচ্ছে! মেন্টর জিনিসটা তো অন্য জিনিস। মেন্টরের কাজটা কী আমি জানি না।’
তবে দলের যদি সেরকম প্রয়োজন হয় তাহলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘ (দলের প্রয়োজনে) সেরকম পরিস্থিতি এলে, তখন দেখা যাবে। এই মুহূর্তে আমার আসলে কিছু বলার নেই।’ তবে প্রধানমন্ত্রী যদি তাকে মেন্টর থাকতে বলেন, সেক্ষেত্রে তার আদেশ মানতে বাধ্য মাশরাফি। সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে সেটা ভিন্ন জিনিস। সেটার সঙ্গে তর্কে যাওয়ার বা কথা বলার সুযোগ নেই।’