পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে সঙ্গে দুই দশকের সম্পর্কের ইতি টানলেন দিয়েগো গদিন। লম্বা সময় ইউরোপিয়ান ফুটবলে নানা ক্লাবের রক্ষণ ভরসা হয়ে থাকার পর গত বছর লাতিন আমেরিকায় ফিরে যান এই উরুগুয়ের তারকা ডিফেন্ডার। গতকাল রোববার আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলে সারফিলের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেললেন।
যদিও ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে জয় পাওয়া হলো না গদিনের। উরাকানের কাছে ১-০তে হেরে যায় তার দল। তবে ক্যারিয়ার তার দারুণ সমৃদ্ধ।তিনি পেশাদার ফুটবলে সব মিলিয়ে খেলেছেন ৬২৭টি ম্যাচ। নির্ভরযোগ্য সেন্টার ব্যাক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ফুটবল বিশ্বজুড়ে। পরিচিতি পেয়েছেন ‘যোদ্ধা’ হিসেবে।
দীর্ঘ এই সময়ে গোল করেছেন ৩৮টি। ট্রফি জিতেছেন ১০টি। এর মধ্যে আছে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে দুটি ইউরোপা লিগ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রানার্স আপ হয়েছেন দুই বার।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্ষসেরা একাদশে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি তিন দফায়, ২০১৫-১৬ মৌসুমে জিতেছেন লা লিগার বর্ষসেরা ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি।
এর আগে ২০০৩ সালে নিজ দেশের ক্লাব সেরোর হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু গদিনের। তিন বছর পর যোগ দেন উরুগুয়ের সফলতম ক্লাব নাসিওনালে। ২০০৭ সালে ভিয়ারিয়ালের হয়ে পা রাখেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে। এরপর ২০১০ সালে যোগ দেন আতলেতিকো মাদ্রিদে, যেখানে কেটেছে তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়। স্পেন ও ইউরোপের ফুটবলে আতলেতিকোর পুনর্জাগরণে বড় ভূমিকা রাখেন গদিন। দলকে নেতৃত্ব দেন ৯ মৌসুমে।
ইতালির ইন্টার মিলান ও কাইয়ারিতে কাটিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে যোগ দেন ব্রাজিলের ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোয়। মাস ছয়েক পর নাম লেখান আর্জেন্টিনার ভেলে সারফিলে।
এদিকে উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়েও গদিন কিংবদন্তি ও সর্বকালের সেরাদের একজন। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লম্বা সময়। ১৬১ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন দেশের জার্সি গায়ে। উরুগুয়ের হয়ে ১৪০ ম্যাচও খেলতে পারেননি আর কেউ। গত বছর পর্যন্তও তিনি ছিলেন জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ। ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা ও ২০১১ কোপা আমেরিকা জয়ী উরুগুয়ের সোনালি প্রজন্মের উজ্জ্বল প্রতিনিধি তিনি। ২০১৮ বিশ্বকাপেও দারুণ খেলে জায়গা পেয়েছিলেন ফিফা ড্রিম টিমে।