রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড ও গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা শরীফ হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৯টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শরীফ পাঁচ বছর ধরে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। একদিনে সে ও তার গ্যাং ৫০টি পর্যন্ত মোবাইল ছিনতাই করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
গ্রেফতারকৃত বাকিরা হলেন- আব্দুল্লাহ বাবু, মো. শ্যামল হোসেন ওরফে রাব্বি, নাছির রাজ, সাজেদুল আলম ওরফে শাওন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, শরীফ হোসেন উত্তরার আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়কে ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই চক্রের সদস্যরা চলন্ত গাড়ি থেকে থাবা দিয়ে কিংবা অন্ধকারে নিরীহ পথচারীদের জিম্মি করে মোবাইল ছিনতাই করে। সেগুলো প্রথমে শরীফের কাছে জমা রাখা হয়। এরপর শরীফ এসব মোবাইল কম দামে কিনে আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামলের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করত।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ বাবু ও শ্যামল ছিনতাই করা মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাজে জড়িত। তারা বিভিন্ন দোকান, অনলাইন প্লাটফর্ম ও বিভিন্ন লোকের কাছে খুচরা হিসেবে এসব মোবাইল বিক্রি করে। বাজারমূল্যের চেয়ে অর্ধেকেরও কম দামে এসব মোবাইল বিক্রি করা হয়।
অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত নাছির মোবাইল ইঞ্জিনিয়ার। টঙ্গী বাজারে তার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান রয়েছে। ঐ দোকানে বৈধ ব্যবসার আড়ালে চোরাই মোবাইলের লক খোলা-আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করত সে। গ্রেফতারকৃত শাওন একটি মোবাইল মেরামত দোকানের কর্মচারী। সে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ছিনতাই করা মোবাইলের লক খোলা এবং আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ করত।